কূটনৈতিক উদ্যোগের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ ঠেকানো হয়েছে: ইমরান

কূটনৈতিক উদ্যোগের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ ঠেকানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তবে পরিস্থিতি এখনও উত্তেজনাকর বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। তুর্কি সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। শনিবার সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ করা হয়।noname
ইমরান খান জানান, কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যকার সাম্প্রতিক উত্তেজনা কমিয়ে আনা হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা মনে করি উত্তেজনা নিরসনে আমাদের ভূমিকা রেখেছি এবং আমরা যুদ্ধ এড়িয়ে গেছি। তবে বিষয়গুলো এখনও উত্তেজনাকর এবং স্থায়ী সমাধানের জন্য আরও উদ্যোগ দরকার।

সাক্ষাৎকারে তুর্কি-পাকিস্তান সম্পর্ক নিয়েও কথা বলেন ইমরান খান। তিনি জানান, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ানের ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি নাগাদ পাকিস্তান সফরের কর্মসূচি রয়েছে। এ সফরে দুই ভ্রাতৃত্বপূর্ণ দেশের সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

২০১৯ সালে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বিদ্যমান উত্তেজনা নিরসনে উদ্যোগী হন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। ইমরান জানান, উত্তেজনা প্রশমনে ভূমিকা রাখতে তাকে অনুরোধ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের সাইডলাইনে সাংবাদিকদের ইমরান খান বলেন, ট্রাম্প আমাকে বলেছেন, যদি আমি উত্তেজনা কমাতে পারি, তবে আরেকটি চুক্তিতে পৌঁছানো যাবে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।

গত বছর জাতিসংঘের ওই অধিবেশনে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের পরেই রুহানির সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন ইমরান। তখন সাংবাদিকদের তিনি জানান, মধ্যস্থতার চেষ্টার বাইরে আর কিছু বলা সম্ভব নয়। আর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ‘সত্যিকার অর্থে তিনি (ইমরান খান) আমার কাছে অনুরোধ করেছেন। তিনি মনে করেন, ইরানি নেতার সঙ্গে আমার বৈঠকের ধারণাটি চমৎকার। আমরা দুজনেই এখানে রয়েছি। গত দুদিনে আমরা অনেক কূটনৈতিক বৈঠক করেছি।’ দৃশ্যত সেই কূটনৈতিক উদ্যোগে অগ্রগতি হয়েছে। যদিও পরিস্থিতি এখনও উত্তেজনাকর বলে সতর্ক করে দিয়েছেন ইমরান খান।