করোনা ভাইরাসে মৃত ব্যক্তির সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের শনাক্ত করছে ফিলিপাইন

ফিলিপাইনে শনিবার করোনা ভাইরাসে এক চীনা নাগরিকের মৃত্যুর পর নড়েচড়ে বসেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। ইতোমধ্যেই ওই ব্যক্তির সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের শনাক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে ম্যানিলা। তিনি যে ফ্লাইটে এসেছিলেন সে ফ্লাইটের অন্যরা এবং যে হোটেলে উঠেছিলেন সেখানকার কর্মীদেরও শনাক্ত করা হচ্ছে।
৩৮ বছরের এক নারীকে সঙ্গে নিয়ে ফিলিপাইনে গিয়েছিলেন ওই চীনা ব্যক্তি। ওই নারীও এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাকে ম্যানিলার হাসপাতালে আলাদা করে রাখা হয়েছে।

মারা যাওয়া চীনা নাগরিক ম্যানিলা ছাড়াও ফিলিপাইনের আরও একাধিক শহর সফর করেছিলেন। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে তারা যে হোটেলটিতে অবস্থান করছিলেন এখন সেখানকার কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে স্বাস্থ্য দফতরের কর্মকর্তারা। তাকে বহনকারী ফ্লাইটের অন্যদের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হচ্ছে।

এদিকে চীনে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে রবিবার পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৩০০ ছাড়িয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৩৮০।

চীনের ৩১টি প্রদেশের সবগুলো এবং বিশ্বের অন্তত ১৮টি দেশে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার পর বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্যগত জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। তবে ইতোমধ্যেই এ ভাইরাসের সংক্রমণ বিশ্বের ২৮টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে চীন ভ্রমণের ওপর কড়াকড়ি আরোপ করেছে অনেক দেশ।

চীনা নাগরিকদের অভিযোগ ভাইরাস ঠেকাতে কর্তৃপক্ষের নেওয়া ব্যবস্থা যথেষ্ট নয়। এক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের ধীর গতির কথা স্বীকার করে নিয়েছেন চীনা কমিউনিস্ট পার্টির উহান পৌর শাখার সেক্রেটারি মা গুয়োকিয়াং। রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম সিসিটিভিকে তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমি অপরাধী, অনুতপ্ত বোধ করছি। আগেই যদি নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা কঠোর করা হতো তাহলে এখন ফলাফল অনেক ভালো হতো’। তবে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের দাবি, এই সংকট কাটিয়ে ওঠার ক্ষমতা বেইজিংয়ের রয়েছে।