ব্রেক্সিট এখন ইতিহাস: জনসন

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, ব্রেক্সিট হয়ে গেছে। এটা এখন ইতিহাস। আনুষ্ঠানিকভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ত্যাগের পর সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) গ্রিনউইচে প্রথম ভাষণে তিনি এই মন্তব্য করেন।noname

ওল্ড রয়েল নেভাল কলেজের ভাষণে জনসন বলেছেন, বিশ্বব্যাপী মুক্ত বাণিজ্যের নেতৃত্ব দিতে যুক্তরাজ্য প্রস্তুত রয়েছে। এখন অর্থনৈতিক জোট ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য না থাকায় যুক্তরাজ্যের জয়সূচক লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। তিনি দৃঢ়ভাবে বলেছেন, শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়ার মানে হচ্ছে- লন্ডন ইইউর আর কোনও আইন মানবে না। এখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে মুক্তভাবে চুক্তি করবে।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটা [ব্রেক্সিট] বিগত হয়েছে। এটা বিগ ব্যাং বা নরম্যান বিজয়ের মতো, আমি তা বলবো না। এটা আমাদের ফেলা আসা ইতিহাসে প্রত্যাবর্তন করেছে।’ বক্তব্যে ব্রেক্সিট শব্দটা একবারও উচ্চারণ করেননি জনসন। এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘এটা বি অক্ষর দিয়ে শুরু বলা ছাড়া আমি এই বিতর্কিত বিষয়ের নামও উচ্চারণ করবো না। নতুনভাবে ক্ষমতা পুনর্গ্রহণের সুযোগ আমাদের আছে। আমরা জানি আমাদের কোথায় যেতে হবে।’

বরিস জনসনের বক্তব্যের কেন্দ্রীয় বিষয় হচ্ছে ইইউর সঙ্গে আসন্ন চুক্তির বিষয়ে যুক্তরাজ্য সরকারের অবস্থান তুলে ধরা। তিনি বলেন, কানাডার পাশাপাশির ইইউর সঙ্গে একটি ‘বাস্তববাদী’ চুক্তি করতে চায় যুক্তরাজ্য। ‘আমরা কাস্টমস ইউনিয়ন বা এরকম প্রতিষ্ঠানের সদস্য বা আংশিক সদস্য হতে চাই না। আমি চাই আমার দেশ বিশ্বব্যাপী মুক্ত বাণিজ্যের স্বাধীন অনুঘটক হয়ে উঠুক।’ বলেন তিনি। 

মুক্ত বাণিজ্যনির্ভর দেশগুলোর তালিকার শীর্ষ রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, নিউ জিল্যান্ড, কানাডা ও জাপান। সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে জনসন বলেন, নতুন বাণিজ্য চুক্তি করতে তাৎক্ষণিকভাবে এসব দেশের সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ নেবে যুক্তরাজ্য।

প্রধানমন্ত্রী জনসন বলেন, ‘আমরাদুর্দান্ত বহুমাত্রিক খেলার জন্য প্রস্তুত। সেখানে আমরা একসঙ্গে একাধিক চুক্তিতে যুক্ত থাকবো।’

যুক্তরাজ্য আনুষ্ঠানিকভাবে ৩১ জানুয়ারি ইইউ ত্যাগ করেছে। ব্রেক্সিট এখন পূর্ব সম্মত অবস্থায় রয়েছে। যুক্তরাজ্য ও ইইউর মধ্যে বাণিজ্য আলোচনা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে আগামী মার্চে। একেবারে মুক্ত হতে ২৭ জাতির অর্থনৈতিক জোট ইইউর সঙ্গে একটা চুক্তি প্রয়োজন রয়েছে তাদের। এরপর বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তির জন্য মুক্ত হবে লন্ডন।