স্টেট অব ইউনিয়ন ভাষণে আমেরিকার পুনরুত্থানের কথা বললেন ট্রাম্প

কংগ্রেসে দেওয়া বার্ষিক স্টেট অব ইউনিয়ন ভাষণে ‘মহান আমেরিকার পুনরুত্থান ঘটেছে’ বলে দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে এক ঘণ্টা ১৮ মিনিটের ওই ভাষণে তিনি বলেন, অকল্পনীয় গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ।noname

মার্কিন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণের বর্ষপূর্তিকে সামনে রেখে কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে স্টেট অব ইউনিয়ন ভাষণ দেন। সাধারণত এই ভাষণে জাতির উদ্দেশে বাজেট এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদন উত্থাপন করেন। এছাড়া আইনি কর্মসূচি ও জাতীয় অগ্রাধিকারের প্রস্তাবও দিয়ে থাকেন প্রেসিডেন্ট।

২০১৭ সালে নিজের প্রথম স্টেট অব ইউনিয়ন ভাষণে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘আমেরিকার মৃত্যু’তে বিলাপ করেছিলেন। তিন বছর পর তিনি বললেন, ‘মাত্র তিন বছরেরও কম সময়ের মধ্যে আমরা আমেরিকানদের মানসিকতার উন্নতি ঘটিয়েছি এবং আমেরিকার ডুবন্ত গন্তব্য পুনরুদ্ধার করেছি।’ ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা যে গতিতে এগিয়ে যাচ্ছি তা মাত্র কিছুদিন আগেও ছিল অকল্পনীয় আর আমরা কখনওই পেছনে ফিরে যাবো না।’

স্টেট অব ইউনিয়ন ভাষণে বিরোধীদল ডেমোক্র্যাটদের বারবার আক্রমণ করেন ট্রাম্প। ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী বার্নি স্যান্ডার্সের মতো বামপন্থীদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘আমরা সমাজতন্ত্রকে আমেরিকার স্বাস্থসেবা ধ্বংস করতে দেব না’।

ক্ষমতায় আসার আগে ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ স্লোগানকে নির্বাচনি প্রচারণার অস্ত্র করেছিলেন ট্রাম্প। তার এই মহান আমেরিকা দিয়ে তিনি সেই কলম্বাসের আবিষ্কৃত আমেরিকাকে বুঝিয়ে থাকেন; যা শ্বেতাঙ্গ আাধিপত্যেরই নামান্তর।

কালজয়ী ঐতিহাসিক হাওয়ার্ড জিন তার ‘পিপলস হিস্টরি অব আমেরিকা’য় লিখেছেন কিভাবে আদিবাসীদের ওপর হত্যা-নির্যাতন চালিয়ে, তাদের সম্পদ লুণ্ঠন করে এই কথিত আমেরিকায় শ্বেতাঙ্গ আধিপত্য কায়েম করা হয়েছিল আর তার নাম দেওয়া হয়েছিল আমেরিকা আবিষ্কার। সেই শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যের রাজনীতির বিপরীতে বিভিন্ন জাতি-গোষ্ঠী ও শ্রেণি-পেশার মানুষকে স্থাপন করেছেন ট্রাম্প। তাদের মধ্যকার বিভক্তিকে সামনে আনতে চেয়েছেন।