শামীমার ব্রিটিশ নাগরিকত্ব ফিরে পাওয়ার আবেদন খারিজ

ইসলামিক স্টেটে (আইএস) যোগ দেওয়া শামীমা বেগমের ব্রিটিশ নাগরিকত্ব ফেরত দেওয়ার আবেদন খারিজ করে দিয়েছে দেশটির একটি বিশেষ আদালত। ব্রিটিশ সরকার তার নাগরিকত্ব বাতিল করলে আদালতে আপিল করেন তার আইনজীবী।

_109323207_9b9a1eb6-84ee-4004-ac6a-bc95e484882f

লন্ডনের বেথনেল গ্রিন অ্যাকাডেমি স্কুলের শিক্ষার্থী ছিল শামীমা। ২০১৫ সালে আমিরা আবাসে ও খাদিজা সুলতানা নামের আরও দুই কিশোরীকে সঙ্গে নিয়ে আইএসে যোগ দিয়েছিল সে। পরিবারকে একদিনের জন্য বাইরে যাওয়া কথা বলে প্রথমে তুরস্ক যায় তারা। সেখান থেকে সীমান্ত অতিক্রম করে সিরিয়ায় প্রবেশ করে। এরপর নেদারল্যান্ডস থেকে সিরিয়ায় যাওয়া এক আইএস জঙ্গিকে বিয়ে করেছিল শামীমা।

দুইবার গর্ভপাতের পর সিরিয়ার শরণার্থী শিবিরে এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেয় সে। পরে সেই শিশুরও মৃত্যু হয়। উদ্ধারের পর শামীমা আবারও যুক্তরাজ্যে ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করলেও তার ব্রিটিশ নাগরিকত্ব প্রত্যাহার করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ। 

জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত মামলার জন্য আধা-গোপনীয় আদালত স্পেশাল ইমিগ্রেশন অ্যাপিলস কমিশন জানায়, শামীমা চাইলে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব নিতে পারেন।

আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে, যদি কারও নাগরিকত্ব বাতিল করার ফলে তিনি রাষ্ট্রহীন হয়ে পড়েন তাহলে এমন পদক্ষেপ বেআইনি।

ধারণা করা হয়, মায়ের সম্পর্কের সূত্র ধরে শামীমা বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে দাবি করতে পারবেন।

রাষ্ট্রহীন হয়ে পড়ার কথা উল্লেখ করে আবেদন করলে কমিশন জানায়, বংশগতভাবে শামীমা বাংলাদেশে নাগরিক।

২০১৯ সালে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, শামীমা বাংলাদেশের নাগরিক নন। তাকে দেশে প্রবেশ করতে দেওয়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না।

বর্তমানে উত্তর সিরিয়ার ক্যাম্প রোজ শরণার্থী শিবিরে অবস্থান করছে শামীমা। তার আইনজীবীরা চাইলে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আবারও আপিল করতে পারবেন।