থাইল্যান্ডে উন্মত্ত সেনাসদস্যের গুলিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২০

থাইল্যান্ডের কোরাট শহরে এক উন্মত্ত সেনাসদস্যের এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২০ জনে দাঁড়িয়েছে। এর আগে প্রাথমিকভাবে ১২ জন নিহতের কথা বলা হয়েছিল। স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটের দিকে এ তাণ্ডব শুরু করে ওই সেনাসদস্য। পুলিশের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।15
থাই প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল কংচিপ তন্ত্রভানিচ ২০ জন নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন। তবে এখনও আহতের সুনির্দিষ্ট কোনও সংখ্যা জানাতে পারেনি পুলিশ।

কোরাত নামে পরিচিত থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের উত্তরপূর্বের এ শহরটির অফিসিয়াল নাম নাখন রাচসিমা। শনিবার ওই সেনাসদস্যের  উন্মত্ততার সাক্ষী হয় ওই শহর ও সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা।

থাই প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বিবিসি-কে জানিয়েছেন, হামলাকারী প্রথমে নিজের কমান্ডিং অফিসারকে হত্যা করে।

ব্যাংকক পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, ওই ব্যক্তি সামরিক শিবিরে প্রথমে নিজের কমান্ডার এবং পরে আরও দুই সহকর্মীর ওপর গুলি চালায়। এরপর মুনাং জেলার একটি শপিং মলে ঢুকে পড়ে এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে থাকে। নিহতদের মধ্যে শিক্ষার্থী ও ট্যাক্সি চালকও রয়েছেন বলে জানা গেছে।

হামলাকারী সেনাসদস্যের নাম জাক্রাফ্যান থম্মা বলে জানা গেছে। তবে সেনাবাহিনীর ওই জুনিয়র কর্মকর্তা সম্পর্কে এখনও বিস্তারিত জানা যায়নি। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, এলোপাতাড়ি হামলার আগে সামরিক শিবির থেকে বন্দুক ও গুলি চুরি করে নিয়ে যায় ওই সেনাসদস্য। পরে ইউনিফর্ম পরিহিত অবস্থায় গাড়ি নিয়ে শহরের একটি শপিং মলে তাণ্ডব চালায়।

তাৎক্ষণিকভাবে হামলার কারণ জানা যায়নি। তবে মোবাইল ফোনে সেলফি মুডে ফেসবুক লাইভে এসে গুলিবর্ষণের সরাসরি সম্প্রচার করে হামলাকারী ওই সেনাসদস্য। ওই লাইভের কিছুক্ষণের মধ্যেই তার মোবাইলে ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক বন্ধ হয়ে যায় বলে জানা গেছে। তাকে গ্রেফতারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে থাই স্পেশাল পুলিশ।