যুক্তরাজ্যে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ

যুক্তরাজ্যে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। রবিবার পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ছিল চারজন। তবে সোমবার নতুন করে আরও চার জনের শরীরে এ ভাইরাস পাওয়া গেছে। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে আট জনে দাঁড়িয়েছে। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আক্রান্তরা ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস (এনএইচএস) সেন্টার এবং লন্ডনের রয়্যাল ফ্রি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

ইতোমধ্যেই আক্রান্তদের মধ্যে দুই জন একই পরিবারের সদস্য বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

যুক্তরাজ্যের জাতীয় স্বাস্থ্য সংস্থা (এনএইচএস)-এর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি রয়েছে তাদের। রোগী শনাক্ত করার পাশাপাশি ভাইরাসটির বিস্তার ঠেকাতে দ্রুততার সঙ্গে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি। আক্রান্তদের জন্য সর্বোচ্চ সেবা এবং এর বিস্তার রোধে তাৎক্ষণিকভাবে জরুরি পদক্ষেপ নিচ্ছে কর্তৃপক্ষ।

বিশ্বজুড়ে ইতোমধ্যেই এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ৪০ হাজার ৬৫১ জন। এর মধ্যে শুধু চীনেই আক্রান্ত হয়েছে ৪০ হাজার ১৯৭ জন। করোনা ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চীনের পর এ ভাইরাসে সবচেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে সিঙ্গাপুরে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪৩। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলোতে আক্রান্ত হয়েছে ৩৩ জন।

এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ৯১০ জনের। এর মধ্যে ৯০৮ জনেরই মৃত্যু হয়েছে চীনের মূল ভূখণ্ডে। বাকি দুইজনের মধ্যে হংকং-এ একজন ও ফিলিপাইনে একজনের মৃত্যু হয়েছে। ফিলিপাইনে মৃত ব্যক্তিও চীনা নাগরিক।

এদিকে বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাস আতঙ্কে জরুরি বৈঠকে বসতে যাচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। সংস্থাটি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ইইউ স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের ওই বৈঠকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একজন প্রতিনিধিও থাকবেন।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান শহরের একটি বন্যপ্রাণীর বাজার থেকে ছড়িয়ে পড়ে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস। একপর্যায়ে এই ভাইরাস নিয়ে বিশ্বজুড়ে জরুরি স্বাস্থ্য পরিস্থিতি (হেলথ ইমার্জেন্সি) ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও। অন্তত ২৮টি দেশে শনাক্ত হয়েছে এই ভাইরাস।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক ইউরোপীয় কমিশনার জ্যানেজ লেনারিক বলেন, এই মহামারি ঠেকাতে আমাদের সবাইকে একত্রিত হতে হবে। সূত্র: বিবিসি, ওয়ার্ল্ডওমিটার ইনফো।