কাশ্মির ইস্যুতে কথা বলা ব্রিটিশ এমপিকে ভারত প্রবেশে বাধা

অধিকৃত কাশ্মিরে ভারতীয় কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করা একজন ব্রিটিশ এমপির ভিসা বাতিল করেছে দিল্লি। ডেবি আব্রাহাম নামের ওই রাজনীতিককে দিল্লি বিমানবন্দরে আটকে রেখেছে ভারতের এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ। তাকে জানানো হয়েছে, তার ই-ভিসা বাতিল করা হয়েছে এবং তাকে দেশে ফিরে যেতে হবে। কাশ্মির বিষয়ক ব্রিটিশ অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপের চেয়ারম্যান ডেবি বলেন, তার সঙ্গে এমন আচরণ করা হচ্ছে যেন তিনি একজন অপরাধী।

capture-1581938234

মোদি সরকার অধিকৃত কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসন বাতিল করে অঞ্চলটিকে দুই টুকরো করে ফেলার পর এ নিয়ে সরব হয়েছিলেন ডেবি আব্রাহাম। গত ৫ আগস্টের পর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিকবার এ নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। এতে অঞ্চলটিতে মোদি সরকারের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করেন তিনি।

লন্ডনে নিযুক্ত ভারতীয় দূতাবাসে কড়া ভাষায় চিঠি পাঠিয়েছিলেন এই ব্রিটিশ এমপি। এর মাঝেই ভারতে নিজের আত্মীয়ের সঙ্গে দেখা করতে আসেন তিনি। তার দাবি, তার ই-ভিসা ২০১৯ অক্টোবর থেকে ২০২০ অক্টোবর পর্যন্ত বৈধ ছিল। কিন্তু তার আগেই তা বাতিল করা হয়।

ব্রিটিশ দূতাবাসে পাঠানো এক চিঠিতে ডেবি আব্রাহাম জানিয়েছেন, সোমবার সকাল ৯টার দিকে দিল্লি বিমানবন্দরে অবতরণ করেন তিনি। এ সময় ইমিগ্রেশন থেকে তাকে বলা হয়, আপনার ই-ভিসা বাতিল করা হয়েছে। অন্য সব যাত্রীদের মতো যাবতীয় নথি দেখালেও কর্তৃপক্ষ তা মানতে রাজি নয়।

ওই নারী এমপি বলেন, ইমিগ্রেশনের একজন কর্মকর্তা নিজের মতো করে আমার নথি পরীক্ষা করেন। এরপর মাথা নাড়িয়ে বলেন, আপনার ই-ভিসা বাতিল হয়েছে। এরপর আবার পরীক্ষা করতে আমার পাসপোর্ট নিয়ে ওই কর্মকর্তা উধাও হয়ে যান। ১০ মিনিট পর ফিরে এসে আমাকে ধমকের সুরে বলেন, আসুন আমার সঙ্গে।

তিনি বলেন, এরপর আমি ওই কর্মকর্তার আচরণের প্রতিবাদ করি। তারপর ওরা আমাকে একটা ঘেরা জায়গায় নিয়ে বসতে বলি। দেখি ওখানে লেখা ডিপোর্টেড সেল। আমি বুঝতে পারছিলাম না ওদের উদ্দেশ্য। তাই আমি দাঁড়িয়ে থাকি এবং চাইছিলাম বিমানবন্দরের অন্য যাত্রীরা আমাকে দেখুক।

এই ব্রিটিশ এমপি বলেন, ‘আমি যে আত্মীয়ের সঙ্গে দেখা করতে ভারতে এসেছি; এরপর তাকে ফোন করি। সেই আত্মীয় এসে ইমিগ্রেশন বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। ফোন করেন ব্রিটিশ দূতাবাসে। এমনকি, ভিসা অন অ্যারাইভালের জন্য অনুরোধ করতে থাকেন সেই আত্মীয়। কিন্তু কোনও তরফ থেকেই উত্তর মেলেনি।’

তিনি বলেন, পরে অবশ্য ইমিগ্রেশনের সেই কর্মকর্তা আমার কাছে ক্ষমা চেয়েছে। এক বিবৃতিতে এই ব্রিটিশ এমপি বলেন, ‘আশা করবো ভারত সরকার নিজেদের অবস্থান পরিবর্তন করবে এবং আমাকে পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেবে।