ইসরায়েলি বুলডোজারে পিষে ফেলা ফিলিস্তিনির মরদেহ ফেরত চায় পরিবার

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর বুলডোজারে নৃশংসতার শিকার হওয়া ফিলিস্তিনি যুবক মোহাম্মদ আলি আল নাইমের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। পশ্চিম তীরের খান ইউনিসের বাড়িতে একজন বাবা-স্বামী-সন্তান হারানোয় সমবেদনা জানাতে ছুটে আসছেন অনেকে। ইসরায়েলি নিপীড়নের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশের পাশাপাশি তারা দাফনের জন্য দ্রুত মোহাম্মদের মরদেহ ফেরত দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এইসব তথ্য জানিয়েছে।noname



গত রবিবার সকালে গাজার খান ইউনিস এলাকায় সীমান্ত বেষ্টনীর কাছে গুলি চালায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। এতে নিহত হয় ২৭ বছরের ফিলিস্তিনি যুবক মোহাম্মদ আলি আল নাইম। স্থানীয় এক সাংবাদিকের ধারণ করা ভিডিওতে দেখা গেছে, গুলি করে হত্যার পর ওই যুবকের মরদেহ অন্যরা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করলে দ্রুত এগিয়ে আসতে থাকে ইসরায়েলি বুলডোজার। এরপর মরদেহটি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিতে থাকে। পরে সেটি নিয়ে যায় তারা।
মোহাম্মদের মা মিরভাত বলেন, তারা যেটা করেছে তা মানবতার বিরুদ্ধে চরম অপরাধ। তিনি বলেন, ‘আমার ছেলের কোনও তুলনা হয় না, সে আমার সবকিছু। সে ছিল কোমল হৃদয়ের, ধার্মিক ও খু্বই নৈতিক। ভাবতে পারছি না সে আর নেই’। তিনি বলেন, ‘আমি আমার ছেলেকে ফেরত চাই... শেষবারের মতো তাকে দেখতে পাওয়া আমার অধিকার। তার বিদায় জানাতে চাই আর আমার কাছে তাকে সমাহিত করতে চাই যেন সবসময় তাকে দেখতে পারি’।
মোহাম্মদের স্ত্রী হিবা (২৫) জানান, মাত্র দেড় বছর আগে বিয়ে হয়েছে তাদের। সন্তানের বয়স এক বছরেরও কম। তার স্বামী একজন প্রকৌশলী ছিলো জানিয়ে তিনি বলেন, পরিবারের ভরণ-পোষণ করতে বিভিন্ন কোম্পানিতে কাজ করতেন মোহাম্মদ। স্বামীকে হত্যার সেই নৃশংস ভিডিওটি দেখতে চান না বলে জানান হিবা।