‘সন্তানহীন মোদি সন্তান হারানোর বেদনা বোঝেন না’

 

“সন্তান হারানোর বেদনা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বোঝেন না। নিজের সন্তান থাকলে হয়তো বুঝতেন।” কাতর স্বরে কথাগুলি বলছিলেন ৯০ বছরের আসমা খাতুন। গোটা ভারতে তিনি এখন ‘শাহিনবাগের দাদি’ নামে পরিচিত। তার কাঁপা গলায় যে দৃঢ়তা আছে, সেই দৃঢ়তা আর মানসিক শক্তিকে পুঁজি করেই দিল্লির শাহিনবাগে আড়াই মাস ধরে বিক্ষোভ করে যাচ্ছেন কয়েক হাজার নারী।
noname

দিল্লিতে ২৩ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া হিন্দুত্ববাদী তাণ্ডবে নিহতের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। ২৬ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) যেখানে নিহতের সংখ্যা ছিল ২৭, বৃহস্পতিবার বিকালে তা ৩৮-এ পৌঁছায়। আর ২৮ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) নাগাদ এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৪২। আশঙ্কা করা হচ্ছে, নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

দিল্লির সহিংস বাস্তবতায় ব্যাথিত শাহিনবাগের দাদী আসমা খাতুনও। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বিরোধী বিক্ষোভকারীদের শান্তি বজায় রাখতে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। বলেছেন, ‘(মোদির) বয়স ৬৯ হয়ে গেছে, এখনও বিয়ে করেননি। ফলে সন্তানও নেই তার। যদি নিজের সন্তান থাকত তাহলেই তিনি সন্তান হারানোর বেদনা বুঝতেন।’ তিনি আরও প্রশ্ন তোলেন, যিনি নিজের পরিবার ঠিক রাখতে পারেন না তিনি কীভাবে দেশ ঠিক রাখবেন?

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে যশোদাবেন নামের একজন স্কুল শিক্ষিকা নিজেকে মোদির স্ত্রী বলে দাবি করেন। সেই বছর লোকসভা নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় মোদি তার স্ত্রীর প্রসঙ্গ উল্লেখ করেননি। তবে ২০১৯ সালের নির্বাচনের সময় মোদি তার স্ত্রীর প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন। তবে স্ত্রীর সঙ্গে তার কোনও সম্পর্ক কিংবা যোগাযোগ নেই।  
কলকাতায় প্রায় দুই মাস ধরে বিক্ষোভ করছেন কয়েক হাজার নারী। শুক্রবার এই বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন আসমা খাতুন। এদিন সিএএ-বিরোধী বিক্ষোভকারীদের শান্তি বজায় রাখতে আহ্বান জানান তিনি। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, পার্ক সার্কাসে অশিক্ষিতরা বিরিয়ানির লোভে জমা হয়েছে। আর এতে অর্থায়ন করছে বিদেশিরা। এর প্রতিবাদ জানিয়ে শাহিনবাগের দাদি বলেন, আমরা বিরিয়ানির লোভে জড়ো হইনি। এ ধরনের দুর্নাম রটিয়ে আন্দোলন দমানো যাবে না।

সবাইকে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের এই ধরনের সহিংসতায় জড়িয়ে পড়া উচিত নয়। এতে আন্দোলন দুর্বল হয়ে পড়বে।