যুক্তরাষ্ট্রে মানবপাচারের দায়ে গ্রেফতারকৃত বাংলাদেশির দায় স্বীকার

যুক্তরাষ্ট্রে মানবপাচারের ঘটনায় দায় স্বীকার করেছে গ্রেফতারকৃত এক বাংলাদেশি। মার্কিন বিচার বিভাগ জানিয়েছে, অনথিভুক্ত অভিবাসীদের পাচারের কথা স্বীকার করেছে ওই ব্যক্তি। ৩৯ বছরের ওই বাংলাদেশির নাম মোহাম্মদ মিলন হোসাইন।12
সাউদার্ন ডিস্ট্রিক্ট অব টেক্সাস কোর্টে নিজের দায় স্বীকার করেন মিলন। জানান, ২০১৭ সালের মার্চ থেকে শুরু করে ২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত তিনি অর্থের বিনিময়ে বাংলাদেশিদের যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস সীমান্তে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় যুক্ত ছিলেন।

জেলা জজ ডায়ান সালদানা মিলনের দায় স্বীকারের জবানবন্দি গ্রহণ করেছেন। তবে এখনও রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি।

মিলনের বসবাস মেক্সিকোর তপচুলা এলাকায়। সেখানে তার একটি হোটেল রয়েছে। ওই হোটেলেই যুক্তরাষ্ট্রমুখী অনিবন্ধিত অভিবাসীদের রাখা হয়।

শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের এক  বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হোসেন বিদেশিদের তপচুলা থেকে মেক্সিকোর মন্টেরেরিতে যাওয়ার জন্য বিমানের টিকিট এবং অন্যান্য সহায়তার ব্যবস্থা করতো। তার আরেক সহযোগী মোক্তার হোসেন ওই বিদেশি নাগরিকদের অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে সহায়তা করতো।  

বাংলা ট্রিবিউনে এর আগে প্রকাশিত এক খবরে বলা হয়েছে, মোখতার হোসাইনও দায় স্বীকার করেছেন।

২০১৯ সালের জুনে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের হুস্টনের জর্জ বুশ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মিলনকে গ্রেফতার করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের আইন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটিতে অনথিভুক্ত অভিবাসীদের পাচারকারী চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করে কর্তৃপক্ষ। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগে বলা হয়েছে, মিলন মেক্সিকোর তাপাচুলাতে একটি হোটেল পরিচালনা করতো। এই হোটেলেই সে অবৈধ ভিনদেশিদের স্থান দিত। সে তাদের উত্তর মেক্সিকোর একটি স্থানের বিমান টিকিট সরবরাহ করতো এবং সেখানে গিয়ে ভিনদেশিরা অন্য পাচারকারীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতো, যারা তাদের যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তে পাঠাতো।