যুক্তরাজ্যে কমনওয়েলথ দিবসের আয়োজনে নেতৃত্ব দিলেন রানি

কমনওয়েলথ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। সোমবার লন্ডনের এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন ব্রিটিশ রাজ পরিবারের অন্য সদস্যরাও। বাংলাদেশসহ ৫৪টি দেশের জোট কমনওয়েলথের প্রধান হিসেবে এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন ব্রিটিশ রানি।লন্ডনের ওয়েস্ট মিনিস্টার অ্যাবেতে কমনওয়েলথ দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেন ব্রিটিশ রানি

এ বছর কমনওয়েলথ দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয় ‘অভিন্ন ভবিষ্যতের নির্মাণ’। কয়েকটি লক্ষ্য অর্জনে সদস্য দেশগুলোর ‘উদ্ভাবন, সংযুক্তি আর রুপান্তরকে’ গুরুত্ব দিয়ে পালিত হয় এবারের দিবসটি। সাবেক ব্রিটিশ উপনিবেশিক দেশগুলোর জোট কমনওয়েলথের প্রধান রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ।

কমনওয়েলথ দিবসের বার্তায় রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ বলেন, ‘উন্নত প্রযুক্তি ও আধুনিক মিডিয়ার কারণে এখন আরও বহু মানুষ শিক্ষা, চিকিৎসা ও সংরক্ষণের মতো ক্ষেত্রগুলোতে উল্লেখযোগ্য দ্রততাার সঙ্গে কমনওয়েলথে সংযুক্ত থাকার সুফল ভোগ করছেন।’ ‘এই বিশেষ কমিউনিটির সদস্য হিসেবে, এই কমনওয়েলথ দিবসে আমি আশা করি কমনওয়েলথভুক্ত দেশ এবং মানুষেরা আমাদের অংশিদারিত্বে উৎসাহিত হবে’ বলেন রানি।

অনুষ্ঠানে ডিউক ও ডাচেস অব সাসেক্স হ্যারি এবং মেগান, ডিউক ও ডাচেস অব ক্যামব্রিজ প্রিন্স উইলিয়াম এবং তার স্ত্রী কেট মিডলটন ছাড়াও প্রিন্স চার্লস এবং তার স্ত্র ও ডাচেস অব কর্নওয়াল ক্যামেলিয়া উপস্থিত ছিলেন। গত জানুয়ারিতে সিনিয়র রয়্যালসের দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার পর রাজ পরিবারের ঊর্ধ্বতন সদস্যদের সঙ্গে প্রথমবারের মতো এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হলেন হ্যারি ও মেগান। অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া শেষে তারা তাদের বর্তমান আবাস কানাডাতে ফিরে যাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। আগামী ১ এপ্রিল থেকে তারা অর্থনৈতিকভাবে স্বাধীন জীবন শুরু করবেন।

অনুষ্ঠানে নিজের সঙ্গি ক্যারি সিমন্ডসকে নিয়ে যোগ দেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। কমনওয়েলথকে বিশ্বের সবচেয়ে মহান পরিবার হিসেবে আখ্যা দেন তিনি। ডাউনিং স্ট্রিট প্রকাশিত এক বার্তায় তিনি বলেন, ‘সারা বিশ্বে শান্তি, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের রক্ষক হিসেবে কমনওয়েলথের ৭০ বছরেরও বেশি সময়ের সমৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে’।

এ বছর কমনওয়েলথের চেয়ারের আসন রুয়ান্ডার কাছে হস্তান্তর করবে ব্রিটেন। আগামী জুনে দেশটির রাজধানী কিগালিতে অনুষ্ঠিত হবে কমনওয়েলথ রাষ্ট্রপ্রধানদের বৈঠক।