করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে চার হাজার ২৯৫

চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসে দুনিয়াজুড়ে মৃতের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ড ওমিটারস ডট ইনফো’র হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশ সময় ১১ মার্চ সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে এ ভাইরাসে চার হাজার ২৯৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ১৯ হাজার ১৭৯। এদের মধ্যে চিকিৎসা গ্রহণের পর সুস্থ হয়েছে ৬৬ হাজার ৬১৮ জন।
মৃত চার হাজার ২৯৫ জনের মধ্যে তিন হাজার ১৫৮ জনই চীনের নাগরিক। আক্রান্তদেরও অধিকাংশই চাইনিজ। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৬১ হাজার ৪৮২ জন।

প্রাণহানির দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ইতালিতে এ পর্যন্ত ৬৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ১৪৯ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন এক হাজার চারজন। ইরানে মারা গেছে ২৯১ জন। দক্ষিণ কোরিয়ায় মারা গেছে ৬০ জন।

ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে ইতালির পর সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে ফ্রান্সে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত অন্তত ৩৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৩০। আর মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৯৭৮। এর মধ্যে ১৫ জন ইতোমধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

ভাইরাসটির উৎপত্তিস্থল চীনে নতুন সংক্রমণের সংখ্যা কমে এলেও নতুন করে ইতালিতে ব্যাপক উদ্বেগ তৈরি করছে এটি। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মিউজিয়াম, জিমনেশিয়াম, নাইট ক্লাবসহ বিভিন্ন ভেন্যু বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী গুইসেপ কন্টে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রথমে লোম্বার্ডিসহ ১৪টি প্রদেশের অন্তত এক কোটি ৬০ লাখ মানুষকে আগামী ৩ এপ্রিল পর্যন্ত বাধ্যতামূলকভাবে কোয়ারেন্টাইনে রাখার ঘোষণা দেয় কর্তৃপক্ষ। পরে পুরো দেশকেই কোয়ারেন্টাইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়। এর ফলে কেউ নিজ এলাকার বাইরে যেতে পারবে না।

ইতালির প্রথম সারির রাজনীতিবিদ নিকোলা জিঙ্গারেত্তি বলেছেন, শনিবার তিনি টেস্ট করে দেখেছেন তিনি করোনায় আক্রান্ত। মধ্য-বাম ডেমোক্রেটিক পার্টির এই নেতা ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আমি ভালো আছি। কিন্তু কিছু দিন আমাকে বাড়িতে থাকতে হবে।’ দেশটি বলছে, এই সংকট মোকাবিলায় যেসব ডাক্তার অবসরে গেছেন তাদের আবারও কাজে লাগানো হবে।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান শহরের একটি বন্যপ্রাণীর বাজার থেকে ছড়িয়ে পড়ে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস। একপর্যায়ে এ ভাইরাস নিয়ে বিশ্বজুড়ে জরুরি স্বাস্থ্য পরিস্থিতি (হেলথ ইমার্জেন্সি) ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সূত্র: ওয়ার্ল্ড ওমিটারস ডট ইনফো, আল জাজিরা।