যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশি কিশোর খুনের ঘটনায় আরও দুই জন গ্রেফতার

যুক্তরাজ্যের এক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কিশোরের খুনের ঘটনায় বৃহস্পতিবার আরও দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নিহত ১৬ বছরের ওই কিশোরের নাম শানুর আহমেদ দাইয়ান। এ মাসের গোড়ার দিকে পূর্ব লন্ডনে তাকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এর তদন্ত করছে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড।12
বৃহস্পতিবার গ্রেফতার হওয়া দুইজনের ছদ্মনাম হিসেবে বলা হচ্ছে জি এবং এইচ। তাদের উভয়ের বয়স  ১৮ বছর। খুন ও ডাকাতির সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। উভয়েই বর্তমানে ইস্ট লন্ডন থানার হেফাজতে রয়েছে।

২০২০ সালের ৩ মার্চ নিউহামের আটলান্টিস অ্যাভিনিউয়ের স্থানীয় রেল স্টেশনের কাছ থেকে শানুর আহমেদ দাইয়ানের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে এ ঘটনার তদন্তে নামে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড।

নিহতের চাচা শিব্বির আহমদ রাহাত বাংলা ট্রিবিউন-কে জানিয়েছেন, মা ফাতেমা বেগমের সঙ্গে রাতে ডাক্তার দেখাতে বাইরে যায় দাইয়ান। সেখান থেকে বাসায় ফেরার পর স্কুলের বন্ধুরা তাকে বাইরে যাওয়ার জন্য ফোন করে। আধা ঘণ্টার মধ্যে ফিরে আসবে বলে সে বাইরে যায়। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বাসায় ফিরে না এলে কল দিয়ে মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরদিন সকাল ৮টার দিকে লন্ডনের একটি রেল স্টেশনের কাছ থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে।

নিহতের মা-বাবার নাম ফাতেমা বেগম ও শরীফ আহমদ। তারা দীর্ঘদিন পূর্ব লন্ডনে বাস করছেন। তাদের দুই ছেলের মধ্যে দাইয়ান ছিল বড়। ৩ মার্চ পুলিশ যখন স্থানীয় রেল স্টেশনের কাছ থেকে মরদেহ উদ্ধার করে তখন মাথার আঘাতের চিহ্ন ছিল। পরে এ ঘটনার তদন্তে নামে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড। তদন্তকাজে নেতৃত্ব দিচ্ছেন গোয়েন্দা সংস্থার স্পেশালিস্ট ক্রাইম কমান্ডের প্রধান পরিদর্শক ল্যারি স্মিথ।

স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ৫ মার্চ বৃহস্পতিবার ইস্ট হ্যামে একটি ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। এতে দেখা গেছে, মাথার আঘাতের ফলেই দাইয়ানের মৃত্যু হয়েছে।

এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ইতোমধ্যেই ১৭ বছরের এক তরুণের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে কম বয়সী হওয়ায় তার নাম উল্লেখ করেনি ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ। এছাড়া তার বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক অস্ত্র বহনেরও অভিযোগ আনা হয়েছে। তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে তিনজন দাইয়ানের খুনের একদিন আগে এক ডাকাতির ঘটনায়ও সন্দেহভাজন।