শিশু ধর্ষণের পর তার বাবাকে হত্যার দায়ে বিজেপি নেতার কারাদণ্ড

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয় ভারতের ক্ষমতাসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) বহিষ্কৃত নেতা কুলদীপ সিং সেঙ্গারকে। এবার ওই শিশুর বাবাকে হত্যার দায়ে দিল্লির আদালত তাকে আরও ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন।   

noname

ধর্ষণের শিকার শিশুটি ২০১৭ সালে আত্মহত্যার চেষ্টা করলে দেশব্যাপী আলোচনায় আসে মামলাটি। অভিযোগ আনার পর সন্দেহজনক পরিস্থিতিতে মারা যান শিশুটির বাবা, দুই ফুপু ও মামলার এক সাক্ষী। বেআইনি অস্ত্র বাড়িতে রাখার অভিযোগে ২০১৮ সালের ৩ এপ্রিল গ্রেফতার করা হয় তার বাবাকে। পরদিন বিচারিক হেফাজতে মারা যান তিনি।

আদালত সূত্রে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, খুনের সময় কুলদীপ নিজে দিল্লিতে থাকলেও নিয়মিত দোষী পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছিল সে। ওই ব্যক্তিকে রাস্তা থেকে পুলিশ স্টেশনে তুলে নিয়ে গিয়ে প্রচণ্ড মারধর করা হয়। পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় ৫৫ বছরের ওই ব্যক্তির। ময়নাতদন্তে তাঁর শরীরে ১৪টি গুরুতর আঘাত পাওয়া যায়।

গত বছরের অগস্টেই কুলদীপের বিরুদ্ধে ধর্ষণের শিকার শিশুর বাবাকে ভুয়া অস্ত্র আইনে ফাঁসানো ও মারধরের অভিযোগে চার্জ গঠন করা হয়। ধর্ষণের অভিযোগ ধামাচাপা দিয়ে ওই ব্যক্তির মুখ বন্ধ করতেই বিশাল ষড়যন্ত্র রচিত হয় বলে মন্তব্য করেছেন আদালত।

২০১৯ সালের ২৮ জুলাই ধর্ষণের শিকার ওই শিশু ও তার আত্মীয়কে বহনকারী একটি গাড়িতে ধাক্কা দেয় এক ট্রাক। এতে তার খালা মারা গেলে পরিবারের তরফ থেকে দুর্ঘটনাটিকে পরিকল্পিত বলে অভিযোগ তোলা হয়। পরে তাদের পরিবারের জন্য বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে আদালত।

উত্তর প্রদেশের বাঙ্গেরমাও থেকে বিজেপি’র মনোনয়নে চারবার এমএলএ (লোকসভার সদস্য) নির্বাচিত হন কুলদীপ সিং সেঙ্গার। তার বিরুদ্ধে শিশু অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হওয়ার পর ২০১৯ সালের আগস্টে বিজেপি থেকে বহিষ্কার করা হয় তাকে।

সূত্র: স্ক্রলইন