ভারতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে

ভারতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ড ওমিটারস ডট ইনফো’র হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশ সময় ১৫ মার্চ বিকাল পর্যন্ত ভারতে এ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১০৭। এর মধ্যে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসা গ্রহণের পর সুস্থ হয়ে উঠেছে ১০ জন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, দেশটিতে এ ভাইরাসে সবচেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে মহারাষ্ট্রে। সেখানে সরকারি হিসাবে আক্রান্তের সংখ্যা ৩১। ১৪টি নতুন সংক্রমণের সব কটিই ঘটেছে এ রাজ্যে।

এর  পরের অবস্থানে রয়েছে কেরালা। রাজ্যটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ২২। উত্তরপ্রদেশে ১১। হরিয়ানায় আক্রান্ত ১৪ জনের সবাই বিদেশি। দিল্লিতে আক্রান্ত হয়েছেন সাত জন। তাদের মধ্যে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। অধিকাংশ স্কুল-কলেজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বহু অফিসেই ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ করছেন কর্মীরা। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সিনেমা হলগুলো।

কেরালার কোচি বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ আগে দুবাইগামী একটি প্লেন থেকে ২৭০ জন যাত্রীকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। উড্ডয়নের আগ মুহূর্তেই জানা যায়, ওই ফ্লাইটের একজন ব্রিটিশ যাত্রীর শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে।

রবিবার অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন তার ভক্তদের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাসের আতঙ্কের মধ্যে ভক্তরা যেন তার বাড়ি ‘জলসা'-র সামনে জড়ো না হয়।

এদিকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে রাজধানী দিল্লিতে এক গোমূত্র পার্টির আয়োজন করা হয়েছে। পূর্ব ঘোষণার অংশ হিসেবে ১৪ মার্চ শনিবার নিজেদের কার্যালয়ে এর আয়োজন করে অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা নামের একটি সংগঠন। ২০০ মানুষ ওই পার্টিতে অংশ নেয়।

এতে অংশ নেওয়া ওমপ্রকাশ নামের এক ব্যক্তি  বলেন, ‘আমরা ২১ বছর ধরে গোমূত্র পান করছি। গোবর দিয়ে গোসলও করি। কোনওদিন ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন অনুভব করিনি।’ আয়োজকদের বিশ্বাস, গোমূত্রে কিছু ঔষধি গুণ আছে।

ব্যবসা বাণিজ্যেও করোনা ভাইরাসের নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। ভারতে বিশেষ করে পোলট্রি ব্যবসায় ধস নেমেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া গুজবের জেরে লোকজন মুরগির মাংস ও ডিম খেতে চাইছে না। মহারাষ্ট্রের পুনে শহরে ১০ টাকা কেজিতে মুরগি বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে ব্যবসায়ীরা। অথচ কয়েক সপ্তাহ আগেও কেজিপ্রতি ৮০ থেকে ৯০ টাকায় মুরগি বিক্রি করেছেন তারা।