করোনায় থমকে যাবে শাহিন বাগের বিক্ষোভ?

ভারতে করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে বড় ধরনের জমায়েত নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে দিল্লির রাজ্য সরকার। এই পদক্ষেপের কারণে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) বিরোধী বিক্ষোভ থমকে যেতে পারে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এই আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী আইনটি বাতিলের দাবিতে সেখানে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে আসছে। গত বছরের ডিসেম্বর থেকে দিল্লির শাহিনবাগে বিক্ষোভ চলছে

গত ১২ ডিসেম্বর ভারত নাগরিকত্ব আইন সংশোধনের পর থেকে দেশটির বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় রাজধানী দিল্লির শাহিনবাগে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। মূলত নারীদের এই অবস্থান নিয়ে কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির নেতারা কঠোর ভাষায় কথা বললেও তা থামেনি। কিন্তু দীর্ঘদিন পরে এসে পরিস্থিতি বদলে দিচ্ছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ।

বিশ্বজুড়ে মহামারির আকার নেওয়া করোনা ভাইরাসে ভারতে এখন পর্যন্ত ১১৪ জনের সংক্রমণ নিশ্চিত হওয়া গেছে। আর মারা গেছে দুই জন। এমন পরিস্থিতিতে রাজ্যে সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় কোনও আয়োজনে ৫০ জনের বেশি মানুষের জমায়েত নিষিদ্ধ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এই নিষেধাজ্ঞা মানা না হলে ১২৩ বছরের পুরনো মহামারি রোগ আইনে শাস্তি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

নিষেধাজ্ঞা ছাড়াও স্কুল, কলেজ, ব্যায়ামাগার, নাইট ক্লাব, স্পা ও সুইমিং পুল বন্ধ করে দিয়েছে দিল্লি। একই ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করেছে ভারতের আরও কয়েকটি শহর ও রাজ্য কর্তৃপক্ষ। এছাড়া এক মাসের জন্য বিদেশিদের বেশিরভাগ ক্যাটাগরির ভিসা বাতিল করেছে ভারত।