করোনা নিয়ে চীনে প্রবেশ, তদন্ত করছে বেইজিং

করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে চীন সফরে গিয়েছিলেন লি নামের এক নারী। চীনে পৌঁছানোর পর আক্রান্ত হওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত হন তিনি। ইতোমধ্যে ওই নারীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি তদন্ত শুরু করেছে বেইজিং পুলিশ। ১৭ মার্চ মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন।12

লি নামের ওই নারী যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাসুচেটস অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দা। গত ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে চীনে একটি কোম্পানির সম্মেলনে অংশ নেন তিনি। পরে তার এক সহকর্মীর শরীরেও করোনা ভাইরাসের জীবাণু পাওয়া যায়।

সিএনএন-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের ১ মার্চ থেকেই করোনা ভাইরাসের লক্ষণ টের পেতে থাকেন লি। এরমধ্যে রয়েছে পেশীতে ব্যথা, জ্বর, কফ ও সর্দি। তবে এ সময় তিনি নিজ দেশেই ছিলেন।

পুনরায় চীন সফরের আগে গত ৩ মার্চ তিনি স্থানীয় হাসপাতালে যান। সেখানে চিকিৎসক জানান তার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন নেই। তবে তিনি তাকে অ্যান্টি-ভাইরাল মেডিসিন দেন এবং চেস্ট রেডিওগ্রাফ করানোর পরামর্শ দেন। পরে গত ১২ মার্চ তিনি স্বামী-সন্তান নিয়ে চীনের উদ্দেশে যাত্রা করেন।

তাদের বহনকারী ফ্লাইটটি উড্ডয়নের কিছু সময় পর লি বিমানকর্মীদের জানান, তার করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ ছিল। তখন তারা তাকে প্লেনের ভেতরে একটি আইসোলেশন জোনে থাকার ও মাস্ক পরার পরামর্শ দেন। এরপর তিনি একপর্যায়ে জানান, একজন আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন।

চীনে পৌঁছানোর পর ওই নারী ও তার পরিবারের সদস্যদের বেইজিংয়ের একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে গত ১৩ মার্চ তার শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে।

লি হাসপাতালে রয়েছেন। তার স্বামী ও সন্তানকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।

এরমধ্যেই গত সপ্তাহে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া এক পোস্টে ওই নারীকে নিয়ে কথা বলেন প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির একজন অধ্যাপক। নিয়েং ইয়ান নামের ওই অধ্যাপক জানান, যুক্তরাষ্ট্রেই লি’র শরীরে করোনা ভাইরাস ধরা পড়েছে এবং তিনি চীনে পালাতে চেয়েছিলেন। যদিও লি’র দাবি, ম্যাসাসুসেটসে তিনি এ পরীক্ষা করাতে পারেননি।

চীনা পুলিশ জানিয়েছে, দেশটির সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ আইন ভঙ্গের অভিযোগে ওই নারীর ব্যাপারে তদন্ত করছে তারা।