ভারতের ৩০ রাজ্য লকডাউন

মারাত্মক ছোঁয়াচে করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে ভারতের মোট ৩৬টি রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের মধ্যে ৩০টি পুরোপুরি লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে। দেশটিতে ওই ভাইরাসে মোট ৪৯৯ জন আক্রান্তের মধ্যে বিগত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছে ১০৩ জন আর মারা গেছে তিন জন। এ নিয়ে দেশটিতে মোট দশ জন এই ভাইরাসের শিকার হয়ে মারা গেছে। দেশটির সম্প্রচারমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, এমন পরিস্থিতিতে সোমবার (২৩ মার্চ) রাত থেকে কার্যকর হওয়া লকডাউন মেনে না চললে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।noname

পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত রবিবার (২২ মার্চ) ভারতজুড়ে ১৪ ঘণ্টার জনতা কারফিউ পালিত হয়। জরুরি পরিষেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়, এমন যে কাউকে বাড়ির বাইরে বের হতে নিষেধ করা হয়। সতর্কতার অংশ হিসেবে ওই কর্মসূচি পালিত হলেও পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় ৩০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লকডাউন করে দেওয়া হয়।

৩০টি রাজ্যের ৫৪৮টি জেলা সম্পূর্ণ লকডাউনের আওতায় এসেছে। এছাড়া আংশিক বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে উত্তর প্রদেশ, মধ্য প্রদেশ ও ওড়িষ্যায়। এর মধ্যে করোনাভাইরাস আক্রান্তের উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়া ৮০টি জেলা রয়েছে। ভারত সরকার জানিয়েছে, কেবলমাত্র মিজোরাম ও সিকিম এখন পর্যন্ত এই ইস্যুতে সাড়া দেয়নি।

ভারতে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়া ৪৯৯ জনের মধ্যে ৪১ জন বিদেশি নাগরিক। দেশটির গুজরাট, বিহার, কর্নাটক, দিল্লি, মহারাষ্ট্র, পাঞ্জাব, পশ্চিমবঙ্গ ও হিমাচল প্রদেশ থেকে মোট দশ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। গুরুত্বপূর্ণ সব রাজ্য থেকে সংক্রমণের খবর আসার পর অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট বন্ধের সীমা বাড়িয়েছে ভারত। হাজার হাজার প্রবাসী ফিরতে থাকা পাঞ্জাবে জারি করা হয়েছে কারফিউ। একই ব্যবস্থা নিয়েছে সর্বোচ্চ সংখ্যক করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়া রাজ্য মহারাষ্ট্র কর্তৃপক্ষ।

সোমবার এক টুইট বার্তায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, ‘বহু মানুষ লকডাউনকে গুরুত্বসহকারে নিচ্ছে না। দয়া করে নির্দেশনা পালন করে নিজেকে রক্ষা করুন, পরিবারকে রক্ষা করুন। আইন ও বিধিনিষেধ কার্যকর করা নিশ্চিত করতে আমি রাজ্য সরকারগুলোকে আহ্বান জানাচ্ছি’।