পুলিশি হয়রানির অভিযোগ ভারতের ই-কমার্স কর্মীদের

লকডাউনের মধ্যে জরুরি মুদি পণ্য, ওষুধ ও খাবার সরবাহ করতে গিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হয়রানির শিকার হওয়ার অভিযোগ তুলেছে ভারতের বিভিন্ন ই-কমার্স কোম্পানি। এই বিষয়ে দ্রুত সরকারি হস্তক্ষেপ দাবি করেছে তারা। এই হয়রানির কারণে বিপুল পরিমাণ পণ্য নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছে তারা। দেশটির সম্প্রচারমাধ্যম এনডিটিভি এই খবর জানিয়েছে।noname

গত মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া এক ভাষণে আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ২১ দিন ভারত জুড়ে লকডাউন ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।  এই সময়ে সবাইকে ঘরে থাকতে বলা হয়েছে। আর সবাইকে ঘরে রাখতে রাস্তায় রাস্তায় টহল জোরালো করেছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। সরকারি এই পদক্ষেপে বিড়ম্বনায় পড়েছে দেশটির লাখ লাখ দিনমজুর।  

অনলাইনে ভারতের খুচরা পণ্য বিক্রির প্লাটফর্ম বিগবাস্কেট, ফ্রেশ মেন্যু এবং পোর্টিয়া মেডিক্যালের প্রোমোটার কে গনেশ বলেছেন, গত কয়েক দিনে পণ্য সরবরাহ করতে গিয়ে পুলিশ সদস্যদের হাতে হয়রানি, নিপীড়ন এমনকি কোনও কোনও ক্ষেত্রে গ্রেফতারের শিকার হয়েছে তাদের সরবরাহকারীরা। এনডিটিভিকে তিনি বলেন, সরকার যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নিয়েছে কিন্তু জরুরি সেবা এই বিধিনিষেধের বাইরে থাকবে। তিনি দাবি করেন অনেক ক্ষেত্রেই পুলিশ সদস্যরা বুঝতে পারছে না মুদি পণ্য, ওষুধ ও খাবার গ্রাহকদের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া জরুরি সেবা। সেকারণে হয়রানি ও নিপীড়নের মতো ঘটনা ঘটছে বলে দাবি করেন তিনি।  

পুলিশি এই হয়রানির কারণে প্রচুর পরিমাণ সবজি ও দুধ নষ্ট হচ্ছে। গ্রাহকদের কাছে পাঠানো এক বার্তায় মুদি পণ্য ও দুধ বিক্রেতা ওয়েবসাইট মিল্ক বাস্কেট জানিয়েছে তারা প্রায় ১৫ হাজার লিটার দুধ ও দশ হাজার কেজি সবজি নষ্ট করতে বাধ্য হয়েছে। লকডাউন শুরুর দ্বিতীয় দিনেই গুরুগাও, নয়ডা ও হায়দ্রাবাদে তাজা দুধ সরবরাহে অপারগতা প্রকাশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

একই ধরনের হয়রানির শিকার হচ্ছে বিভিন্ন রেস্টুরেন্টের কর্মীরাও। পিৎজা সরবরাহ প্রতিষ্ঠান বেকিং বাদ এর প্রতিষ্ঠাতা অর্জুন জয়শওয়ালের অভিযোগ মোটরসাইকেলে করে পণ্য সরবরাহ করতে গিয়ে পুলিশি লাঠিপেটার শিকার হয়েছে তাদের কর্মী।

তবে জরুরি পণ্য সরবরাহকারীদের হয়রানি করা পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন দিল্লি পুলিশের পাবলিক রিলেশন কর্মকর্তা এমএস রাধা। গুরুগাও পুলিশও এক টুইট বার্তায় সরবরাহকারীদের কাজ নির্বিঘ্ন রাখতে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।