যুক্তরাষ্ট্রে লকডাউনের আওতায় আসছে প্রতি চার জনে তিন জন

করোনাভাইরাসের মহামারি নিয়ন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্রের আরও কয়েকটি অঙ্গরাজ্য কঠোর ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, এতে করে দেশটির প্রতি চার জন মানুষের মধ্যে প্রায় তিন জনই একরকম লকডাউনের আওতায় পড়তে যাচ্ছে। সর্বশেষ  মেরিল্যান্ড, ভার্জিনিয়া, অ্যারিজোনা ও টেনেসি অঙ্গরাজ্য নাগরিকদের ঘরে থাকার নির্দেশ দিয়েছে। এর মাধ্যমে দেশটির ৫০টি অঙ্গরাজ্যের মধ্যে ৩২টিই এই পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।noname

যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত এক লাখ ৬৩ হাজারের বেশি মানুষের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। দেশটিতে এই ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা তিন হাজার ছাড়িয়েছে। সবচেয়ে উপদ্রুত এলাকায় পরিণত হয়েছে নিউ ইয়র্ক। সেখানে ৯১৪ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করেছে জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়।

যুক্তরাষ্ট্রে ইতোমধ্যেই প্রায় ২৪ কোটি ৫০ লাখ মানুষকে ঘরে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দেশটির প্রায় দুই তৃতীয়াংশ অঙ্গরাজ্য নাগরিকদের ঘরে থাকার নির্দেশনা জারি করেছে। আর বাকি অঙ্গরাজ্যগুলো স্থানীয় পর্যায়ে এই ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করেছে।

ফ্লোরিডা জুড়ে লকডাউন কার্যকরে অনিচ্ছুক গভর্নর রন ডেস্যান্টিস। করোনাভাইরাস কবলিত চারটি এলাকার বাসিন্দাদের ঘরে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। মে মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত এই নির্দেশনা কার্যকর থাকতে পারে।

সাধারণত লকডাউন শুরু হলে নাগরিকেরা অত্যাবশ্যকীয় প্রয়োজন যেমন নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী, ওষুধের মতো অল্প কিছু পণ্য সংগ্রহের জন্য বাইরে বের হতে পারে। তবে লকডাউনের অর্থনৈতিক পরিণতি খুবই মারাত্মক হতে পারে। লাখ লাখ মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়ার শঙ্কা তৈরি হয়। মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে কাজ হারাতে পারে প্রায় চার কোটি ৭০ লাখ মানুষ।