করোনায় মৃতের সংখ্যা ৪০ হাজার ছাড়িয়েছে

বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ৪০ হাজার ছাড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের হিসাব অনুযায়ী ৩১ মার্চ মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪০ হাজার ৬৩৬ জনে। বিশ্ববিদ্যালয়টির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে আট লাখ ২৩ হাজার ৪৭৯ জন। চিকিৎসা গ্রহণের পর সুস্থ হয়ে উঠেছেন এক লাখ ৭৪ হাজার ১৯ জন।noname

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনা ভাইরাস। উৎপত্তিস্থল চীনে ৮০ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হলেও সেখানে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব কমে গেছে। তবে বিশ্বের অন্যান্য দেশে এই ভাইরাসের প্রকোপ বাড়ছে। চীনের বাইরে করোনাভাইরাসের প্রকোপ ১৩ গুণ বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে গত ১১ মার্চ দুনিয়াজুড়ে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের হিসাব অনুযায়ী এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে মোট এক লাখ ৭৫ হাজার ৬৭ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে তিন হাজার ১৭৩ জনের। তবে মৃতের হিসাবে শীর্ষে রয়েছে ইতালি। দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ১২ হাজার ৪২৮ জন। আর আক্রান্ত হয়েছেন এক লাখ ৫ হাজার ৭৯২ জন।

মৃতের হিসাবে তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে স্পেন। দেশটিতে মৃতের সংখ্যা আট হাজার ২৬৯। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৯৪ হাজার ৪১৭।

স্পেনের পর সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে চীনে। দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৮২ হাজার ২৭৮জন। এর মধ্যে তিন হাজার ৩০৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে চীনের বিরুদ্ধে প্রকৃত পরিস্থিতি গোপনের অভিযোগ রয়েছে। উহানের একজন স্বেচ্ছাসেবী বলেন, ‘বুদ্ধি-বিবেচনাসম্পন্ন যেকোনও মানুষ এই সংখ্যা (সরকারি পরিসংখ্যান) সন্দেহ প্রকাশ করবে।’

অভিযোগের প্রেক্ষিতে নতুন সংক্রমণ গোপন না করতে কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী লি খোয়াচিয়াম। গত ২৩ মার্চ কর্মকর্তাদের প্রতি দেওয়া তার এ সংক্রান্ত ভাষণ পরদিন ২৪ মার্চ সরকারি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। লি খোয়াচিয়াম বলেন, স্বচ্ছতার মানে হচ্ছে নতুন কেউ আক্রান্ত হলে অবশ্যই তা রিপোর্ট করা উচিত। যা ঘটেছে তাই বলা উচিত। কোনও কিছু অবশ্যই ধামাচাপা দেওয়া হবে না।