মুম্বাইয়ে একদিনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৫৯

ভারতের মুম্বাইয়ে মঙ্গলবার একদিনেই নতুন করে ৫৯ জনের শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে। আর গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতজুড়ে নতুন করে শনাক্ত হয়েছে মোট ১৪৬ জন। যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ভারতে এ পর্যন্ত মোট এক হাজার ৩৯৭ জনের শরীরে এ ভাইরাস ধরা পড়েছে। এরমধ্যে ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসা গ্রহণের পর সুস্থ হয়ে উঠেছে ১২৩ জন।

১৩০ কোটিরও বেশি জনসংখ্যার দেশে ভারতে সরকারিভাবে করোনাভাইরাসের যে পরিসংখ্যান দেওয়া হচ্ছে তা নিয়ে অবশ্য সন্দিহান বিশেষজ্ঞরা। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, আদৌ কি যথেষ্ঠ পরিমাণে পরীক্ষা করা হচ্ছে?

করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য ভারতে ৫২টি সরকারি হাসপাতাল বা মেডিক্যাল ইনস্টিটিউট চিহ্নিত করে দেওয়া হয়েছে। সেখানে চলে গেলেই যে কেউ টেস্ট করাতে পারবেন – বিষয়টা এমন নয়। আগে হটলাইনে ফোন করে ভ্রমণের ও মেলামেশার ইতিহাস জানাতে হবে, উপসর্গের বিবরণ দিতে হবে। তারপর সব শর্ত মিললে তবেই টেস্টের ছাড়পত্র মিলবে। অবশ্য এখন সে পরিস্থিতির কিছুটা পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে।

পরীক্ষার সরঞ্জাম ও সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও এতো কম সংখ্যক টেস্ট করানো নিয়ে ইতোমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ব্রুকিংস ইন্ডিয়ার গবেষণা প্রধান শামিকা রাভি বলেন, ‘এতো সামর্থ্য নিয়েও এতো কম টেস্ট করানো একেবারেই অর্থহীন। যেসব দেশ সফলভাবে করোনাভাইরাস মোকাবিলা করেছে, তাদের অভিজ্ঞতা কিন্তু বলছে আর্লি টেস্টিং, অর্থাৎ উপসর্গ কম থাকাকালীন প্রচুর পরীক্ষা করানোই সাফল্যের চাবিকাঠি। কাজেই ভারতের টেস্ট করানোর ক্ষমতা থাকলে সেটা পূর্ণ শক্তিতে ব্যবহার করা উচিত।’

করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রকৃত চিত্র ভারত লুকোতে চায়, এমন অভিযোগ অবশ্য একেবারেই মানতে রাজি নয় দিল্লির নরেন্দ্র মোদি সরকার। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব লাভ আগরওয়াল বলেছেন, ‘ভারত এখানে শতভাগ স্বচ্ছ্বতা নিয়ে কাজ করছে এবং একটা প্রটোকল মেনে চলছে।’ সূত্র: এনডিটিভি, জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়।