টোকিওতে একদিনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৭৮

জাপানে ৩১ মার্চ মঙ্গলবার একদিনেই নতুন করে দুই শতাধিক ব্যক্তির শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে। এরমধ্যে শুধু রাজধানী টোকিওতেই এদিন নতুন করে ৭৮ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। বুধবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন।noname

২০২০ সালের ১৪ জানুয়ারি জাপানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। ৩১ মার্চ মঙ্গলবার দেশটিতে একদিনে সর্বোচ্চ সংখ্যক সংক্রমণ ধরা পড়ে। এক সংবাদ সম্মেলনে এ নিয়ে কথা বলেছেন টোকিও-র গভর্নর ইউরিকো কোইকি।

টোকিও-র গভর্নর বলেন, একদিনে এতো বেশি রোগী শনাক্তের ঘটনা এটিই প্রথম। অবশ্যই এটা বড় ধরনের উদ্বেগের বিষয়। আগামীকালের চিত্রটা কেমন আসে তা নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন।

টোকিওতে জরুরি অবস্থা জারি করতেও প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে-র প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন টোকিও-র গভর্নর। তিনি বলেন, টোকিও সংক্রমণ বিস্ফোরণের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। আমরা সেই পরিস্থিতি মোকাবিলার চেষ্টা করছি। সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে পড়া ঠেকানোর চেষ্টা করছি। এখন রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার।

করোনাভাইরাস আরও ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে বিভিন্ন দেশে লকডাউন বা নাগরিকদের অবাধ চলাফেরা নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে জাপানে এখনও পর্যন্ত এ ধরনের কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। বলা চলে, দেশটির জীবনযাত্রা স্বাভাবিক রয়েছে।

আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ড ওমিটার জানিয়েছে, জাপানে এখন পর্যন্ত দুই হাজার ১৭৮ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে ৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসা গ্রহণের পর সুস্থ হয়ে উঠেছে ৪২৪ জন।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনা ভাইরাস। উৎপত্তিস্থল চীনে ৮০ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হলেও সেখানে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব কমে গেছে। তবে বিশ্বের অন্যান্য দেশে এই ভাইরাসের প্রকোপ বাড়ছে। চীনের বাইরে করোনাভাইরাসের প্রকোপ ১৩ গুণ বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে গত ১১ মার্চ দুনিয়াজুড়ে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এখন পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে এ ভাইরাসে সাড়ে আট লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। এরমধ্যে ৪২ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।