মিয়ানমারে যুদ্ধবিরতির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের

মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলীয় রাখাইন ও শান প্রদেশে ক্রম বর্ধমান সহিংসতা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে দেশটি। বুধবার সকালে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের তরফে জানানো হয়, গত কয়েক মাসে মিয়ানমারে বহু মানুষ নিহত ও হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত হয়েছে। সহিংসতার তীব্রতায় যুক্তরাষ্ট্র গভীর সমস্যায় পড়েছে বলেও জানানো হয়।মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র মর্গান অর্তাগাস

মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র মর্গান অর্তাগাস বলেন, মানবিক ত্রাণ ও মিডিয়ার প্রবেশে নিয়ন্ত্রণ এবং দীর্ঘমেয়াদি ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় বর্তমান পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। মানবিক ত্রাণ প্রবেশের অবাধ সুযোগ দিতে মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে অর্তাগাস বলেন, ‘করোনা মহামারির সময়ে মানবিক সহায়তা এবং তথ্য পাওয়াই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ’।

গত কয়েক সপ্তাহে বেশ কয়েক জন সাংবাদিকের ওপর দমনপীড়ন চালিয়েছে মিয়ানমার সরকার। দেশটির অনেক এলাকায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট। অনেকেই আশঙ্কা করছেন, এসব বিধিনিষেধ করোনা মোকাবিলায় মারাত্মক প্রভাব ফেলবে।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া বিষয়ক উপপরিচালক ফিল রবার্টসনন বলেন, সবাই যেন করোনাভাইরাস প্রতিরোধ করতে পারে সেকারণে বিশ্বজুড়ে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব। তা সত্ত্বেও রাখাইন থেকে কোনও প্রকার স্বাধীন তথ্য বের হওয়ার ওপর নিপীড়ন দ্বিগুণ করেছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী।

 রাখাইন জনগোষ্ঠীর অধিকতর স্বায়ত্তশাসনের দাবি তোলা আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে ২০১৯ সাল থেকে নতুন করে সংঘাতে জড়িয়েছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। করোনা মহামারির সময়ে বাস্তুচ্যুত মানুষদের কাছে মানবিক সহায়তা পৌঁছানো অবাধ করতে এই সপ্তাহে আহ্বান জানিয়েছে মিয়ানমারের তিনশোরও বেশি অ্যাডভোকেসি গ্রুপ।