করোনায় এইচআইভি প্রতিরোধে কাজ করা বিজ্ঞানীর মৃত্যু

 

এইচআইভি-এইডসের প্রতিষেধক নিয়ে কাজ করতেন দক্ষিণ আফ্রিকার শীর্ষ ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিজ্ঞানী গীতা রামজি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, মঙ্গলবার তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। বিপুল সংখ্যক এইচআইভি আক্রান্ত মানুষের দেশ দক্ষিণ আফ্রিকায় গীতার মৃত্যুকে তাই অপূরণীয় ক্ষতি হিসেবে দেখা হচ্ছে।

noname

গীতা রামজি অরুম ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ছিলেন। প্রতিষ্ঠানটি এইচআইভ-এইডস ও যক্ষার প্রতিষেধক উৎপাদন নিয়ে কাজ করে। গত মঙ্গলবার উপকূলীয় শহর দুরবানের একটি হাসপাতালে তিনি মারা যান।

দক্ষিণ আফ্রিকার লাখ লাখ মানুষ এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত। দরিদ্র এই মানুষগুলোর চিকিৎসায় স্বল্পমূল্যের কোনো ওষুধ নেই। ফলে প্রতিবছরই বিপুলসংখ্যক লোক বিনা চিকিৎসায় মারা যায়। গীতা জীবনের বেশির ভাগ সময় ব্যয় করেছেন এইচআইভি-এইডসের প্রতিষেধক আবিষ্কারের জন্য।

সহকর্মী ও বন্ধু গেভিন চার্চইয়ার্ড বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম  বিবিসিকে বলেন, ‘গীতা অনেক দিন ধরে নারীদের এইচআইভি থেকে রক্ষায় কাজ দেবে, এমন প্রতিষেধক নিয়ে কাজ করছিলেন।’

এক বিবৃতিতে দক্ষিণ আফ্রিকার ডেপুটি প্রেসিডেন্ট ডেভিড মাবুজা বলেছেন, অধ্যাপক গীতার মৃত্যুতে এইচআইভি-এইডসের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকা ও বিশ্বের লড়াই মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলো।