জাপানে একদিনে আক্রান্ত ৩৭৮

জাপানে ৫ এপ্রিল রবিবার একদিনেই দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ৩৭৮ জন। এদিন এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে তিনজন। রবিবার দিনশেষে এ জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। সোমবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন।

সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটি জানিয়েছে, জাপানে এখন পর্যন্ত করেনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা তিন হাজার ৬৫৪। এর মধ্যে ৮৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর চিকিৎসা গ্রহণের পর সুস্থ হয়ে উঠেছে ৫৭৫ জন।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনা ভাইরাস। উৎপত্তিস্থল চীনে ৮০ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হলেও সেখানে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব কমে গেছে। তবে বিশ্বের অন্যান্য দেশে এই ভাইরাসের প্রকোপ বাড়ছে। চীনের বাইরে করোনাভাইরাসের প্রকোপ ১৩ গুণ বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে গত ১১ মার্চ দুনিয়াজুড়ে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে মোট তিন লাখ ৩৭ হাজার ৩১০ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৯ হাজার ৬৩৪ জনের। তবে মৃতের হিসাবে শীর্ষে রয়েছে ইতালি। দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ১৫ হাজার ৮৮৭। আর আক্রান্ত হয়েছেন এক লাখ ২৮ হাজার ৯৪৮ জন।

মৃতের হিসাবে তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে স্পেন। দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ১২ হাজার ৬৪১। মোট আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ৩১ হাজার ৬৪৬।

এদিকে স্বনামধন্য মার্কিন বুদ্ধিজীবী নোম চমস্কি বলেছেন, করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আগে এ ব্যাপারে বিপুল তথ্য বিশ্বের কাছে ছিল। তখন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিলে এই ভাইরাসের মহামারি ঠেকানো যেত। তবে মুনাফাবাজ ও দায়িত্বহীন রাজনৈতিক ও বাজার-ব্যবস্থার কারণে তা সম্ভব হয়নি।

করোনার চেয়েও বড় দুই বিপদ আসছে বলে সতর্কবার্তা উচ্চারণ করেছেন নোম চমস্কি। তার ভাষায়, এর একটি হচ্ছে বৈশ্বিক উষ্ণতা, অপরটি সম্ভাব্য একটি পরমাণু যুদ্ধ।