ইউরোপে প্রাণহানি ১ লাখ ছাড়িয়েছে

করোনাভাইরাস মহামারিতে বিপর্যস্ত ইউরোপ মহাদেশে প্রাণহানির সংখ্যা ১ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। আর গোটা বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৬০ হাজারেরও বেশি মানুষের। এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারানোদের দুই তৃতীয়াংশই ইউরোপ মহাদেশের বাসিন্দা। জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলের প্রতিবেদন থেকে এই পরিসংখ্যান জানা গেছে।

noname



২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। উৎপত্তিস্থল চীনে ৮৩ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হলেও সেখানে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব কমে গেছে। তবে বিশ্বের অন্যান্য দেশে এই ভাইরাসের প্রকোপ বাড়ছে। চীনের বাইরে করোনাভাইরাসের প্রকোপ ১৩ গুণ বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে গত ১১ মার্চ দুনিয়াজুড়ে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। 
অন্য মহাদেশের তুলনায় ইউরোপ মহাদেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপজনিত প্রাণহানির সংখ্যা অনেকখানিই বেশি। ডয়চে ভেলের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার (১৮ এপ্রিল) নাগাদ ইউরোপে ১ লাখ ৫১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
মহাদেশ হিসেবে ইউরোপে করোনাজনিত প্রাণহানি বেশি হলেও একক দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যাও সেখানে সবচেয়ে বেশি। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা সাত লাখ ৩৪ হাজার ৫৫২। মৃত্যু হয়েছে ৩৮ হাজার ৮৩৫ জনের। মৃতের হিসাবে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ইতালি। দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ২৩ হাজার ২২৭। আর আক্রান্ত হয়েছে এক লাখ ৭৫ হাজার ৯২৫ জন। মৃতের হিসাবে তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে স্পেন। দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ২০ হাজার ৬৩৯। মোট আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ৯৪ হাজার ৪১৬।
উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় এ মাসের শুরুর দিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলোর অর্থমন্ত্রীরা ৫০০ বিলিয়ন ইউরো বেলআউট প্যাকেজ ঘোষণার ব্যাপারে সম্মত হন। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বেলআউট তহবিল (ইউরোপিয়ান স্ট্যাবিলিটি মেকানিজম) এর প্রধান ক্লাউস রেজলিং জানিয়েছেন, করোনা মহামারির প্রভাব ঠেকাতে আরও ৫০০ বিলিয়ন ইউরোর তহবিল প্রয়োজন হবে।
করোনা পরিস্থিতির কারণে বিশ্বের প্রায় সাড়ে ৪শ কোটি মানুষ স্বেচ্ছা কিংবা বাধ্যতামূলকভাবে বাড়িতে অবস্থান করছে। অনেক দেশই লকডাউনের মেয়াদ বাড়িয়েছে।