কাশ্মিরে হিজবুল মুজাহিদিন কমান্ডার রিয়াজ নাইকু নিহত

ভারতের নিরাপত্তাবাহিনীর অভিযানে কাশ্মিরের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হিজবুল মুজাহিদীনের শীর্ষ কমান্ডার রিয়াজ নাইকু নিহত হয়েছেন। বুধবার সকালে পুলওয়ামা জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানের সময় নাইকুসহ অন্তত দুই জন নিহত হয় বলে জানিয়েছে দেশটির সম্প্রচারমাধ্যম এনডিটিভি।হিজবুল মুজাহিদিন কমান্ডার রিয়াজ নাইকু

জম্মু-কাশ্মিরে সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠনগুলোর মধ্যে হিজবুল মুজাহিদিন সবচেয়ে সক্রিয়। ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত সংগঠনটিকে ভারতের পাশাপাশি ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রও সন্ত্রাসী সংগঠন বিবেচনা করে থাকে। আদর্শগতভাবে সংগঠনটি কাশ্মিরকে পাকিস্তানের অঙ্গীভূত করার পক্ষে। ২০১৬ সালে কাশ্মিরের বিদ্রোহের অন্যতম পরিচিত মুখ বুরহান ওয়ানি নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে নিহত হওয়ার পর ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর নজরে আসেন হিজবুল কমান্ডার রিয়াজ নাইকু। এই মুহূর্তে ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসী তিনি।  ৩০ বছর বয়সী নাইকুর মাথার মূল্য ১২ লাখ রুপি নির্ধারণ করে ভারত।

করোনাভাইরাসের মহামারির মধ্যেও সম্প্রতি বেশ কিছু দিন ধরেই কাশ্মিরে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান জোরালো হয়েছে। এতে নিরাপত্তাবাহিনীর একাধিক সিনিয়র কর্মকর্তাসহ বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে বুধবার কাশ্মিরে পৃথক তিনটি যৌথ অভিযান শুরু করা হয়। পুলওয়ামার প্যাম্পোর এলাকায় অন্য একটি অভিযানে আরও দুই জন নিহত হয়।

এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, পুলওয়ামা জেলার বেইঘপুরা এলাকায় হিজবুল মুজাহিদীনের প্রধান কমান্ডার রিয়াজ নাইকুর অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পর দেশটির সেনাবাহিনী যৌথ অভিযানে যায়। এ সময় কাশ্মীর উপত্যকার অন্তত ১০টি জেলায় মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়।

কাশ্মিরের পুলওয়ামা জেলার অবন্তিপুর শহরের দুরবাগ এলাকার নাইকু মহল্লার বাসিন্দা রিয়াজ নাইকুকে ‘এ++’ ক্যাটারগরির সন্ত্রাসী বিবেচনা করে ভারত। কাশ্মিরের এই ক্যাটাগরিতে পড়া বিদ্রোহীদের মোস্ট ওয়ান্টেড ধরা হয়। ২০১৭ সালের জুন মাসে সাবজার ভাট নিহত হওয়ার পর হিজবুল মুজাহিদিনের কাশ্মির উপত্যকার প্রধান নিযুক্ত হন রিয়াজ নাইকু।