ভারতে গ্যাস লিক

অচেতনদের উদ্ধারে দরজা ভেঙে বাড়ি বাড়ি ঢোকে উদ্ধারকারীরা

ভারতের বিশাখাপত্তনমের রাসায়নিক কারখানায় গ্যাস লিক হওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যে আশেপাশের কয়েকটি গ্রামের মানুষ বহু মানুষ অচেতন হয়ে পড়ে। উদ্ধার কর্মীরা বাড়ি বাড়ি প্রবেশ করে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। অন্ধ্র প্রদেশের পুলিশ মহাপরিদর্শক গৌতম স্বয়াং দেশটির সম্প্রচারমাধ্যম এনডিটিভিকে এসব কথা জানিয়েছেন।noname

প্রাথমিক ভাবে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী বুধবার রাত আড়াইটার দিকে ওই কারখানা থেকে গ্যাস ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। গভীর রাতে গ্যাস ছড়িয়ে পড়ার সময়ে আশেপাশের অনেক গ্রামের মানুষই ঘুমিয়ে ছিলেন।  বিষাক্ত গ্যাসে অন্তত নয় জন নিহত ও প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছে বহু গবাদি পশুও। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন গ্যাসের তীব্রতায় গাছের রং বদলে যাওয়া শুরু হয়েছে।

অন্ধ্র প্রদেশ পুলিশ কর্মকর্তা গৌতম স্বয়াং জানিয়েছেন, নিহত নয় জনের মধ্যে দুই জনের গ্যাস লিকের পর গতবুদ্ধি হয়ে কূয়ায় ঝাঁপ দেওয়ার পর মারা যান। ঘটনার পরপরই আশেপাশের গ্রামে ছুটে যাওয়া কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আক্রান্ত অনেক ব্যক্তি রাস্তাতেই অজ্ঞান হয়ে পড়ে।noname

গ্যাস লিক হওয়া কারখানাটি ১৯৬১ সালে হিন্দুস্তান পলিমার হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৯৭ সালে এটি অধিগ্রহণ করে দক্ষিণ কোরিয়ার এলজি কেম। তারপরেই এই সংস্থাটির নতুন নাম হয় এলজি পলিমারস ইন্ডিয়া। এই প্লান্টটি মূলত পলিসট্রিন তৈরি করে, যা দিয়ে বিভিন্ন ধরনের প্লাস্টিকের খেলনা এবং অন্যান্য প্লাস্টিকের জিনিস তৈরি করা হয়।noname

এলজি কেম এর বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, কারখানা থেকে যে গ্যাস লিক হয়েছে তা গ্রহণ করা হলে শ্বাসকষ্ট, ও অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটতে পারে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের দ্রুত চিকিৎসার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে। সিউলে কোম্পানিটির এক মুখপাত্র জানান, রাতের শিফটে কর্মরত এক কর্মী প্রথম ট্যাঙ্ক থেকে গ্যাস লিক হওয়ার ঘটনা খেয়াল করেন। ভারত জুড়ে লকডাউনের কারণে দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকার পর কারখানাটি পুনরায় উৎপাদন শুরুর প্রস্তুতি নিচ্ছিলো বলেও জানান তিনি।