ক্ষমতা বাড়ালেন মিসরের প্রেসিডেন্ট

মিসরের জরুরি অবস্থা সংক্রান্ত আইনের সংশোধনী অনুমোদন করেছেন প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাতাহ আল সিসি। শনিবার অনুমোদন পাওয়া এই সংশোধনীতে প্রেসিডেন্ট ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলোকে অতিরিক্ত ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। করোনাভাইরাসের মহামারি মোকাবিলায় এই সংশোধনীর প্রয়োজন পড়ে বলে দাবি করেছে সরকার। তবে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো এর নিন্দা জানিয়েছে বলে খবর দিয়েছে মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি।noname

২০১৩ সালে মিসরের প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ জোরালো হয়ে ওঠে। সেই সুযোগে আল সিসির নেতৃত্বে মুরসিকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। তারপর দুই দফা নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আছেন তিনি। নিজেকে ২০৩০ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় রাখতে গত বছর সংবিধানও সংশোধন করেছেন তিনি। মানবাধিকার গ্রুপগুলোর অভিযোগ, সিসির আমলে ভিন্নমতালম্বীদের ওপর দমনপীড়ন জোরালো হয়েছে। কারাগারে ঢোকানো হয়েছে হাজার হাজার মানুষকে।

২০১৭ সালের এপ্রিল থেকে মিসরে জরুরি অবস্থা চলছে। সন্ত্রাসবাদ ও মাদক পাচার মোকাবিলায় প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা বাড়াতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। পরে প্রতি তিনমাস অন্তর করে এর মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।

শনিবার জরুরি অবস্থায় আনা সংশোধনীর মাধ্যমে করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিতে প্রেসিডেন্টকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেওয়া, বিদেশ ফেরতদের কোয়ারেন্টিনে পাঠানো। এছাড়া পাবলিক ও প্রাইভেট মিটিং, বিক্ষোভ, উদযাপনসহ নানা ধরনের জমায়েত নিষিদ্ধ করার ক্ষমতাও প্রেসিডেন্টকে দেওয়া হয়েছে।

তবে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, করোনাভাইরাসের মহামারিকে ব্যবহার করে ক্ষমতা সম্প্রসারণ করতে চাইছে মিসর সরকার। জরুরি অবস্থার সংস্কার তাদের লক্ষ্য নয়।

মিসর সরকার বলছে, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় আইনগত শুন্যতা পূরণের জন্য জরুরি অবস্থায় সংশোধনী আনা হয়েছে। প্রায় দশ কোটি জনসংখ্যার দেশ মিসরে প্রায় সাড়ে আট হাজার করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৫০৪ জনের।