নিউ ইয়র্কে বিরল উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া তিন শিশু করোনা আক্রান্ত ছিল

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে বিরল প্রদাহজনিত উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া তিন শিশু করোনা আক্রান্ত ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, করোনা সংক্রমণের কারণেই তারা মারা গেছে। শনিবার (৯ মে) নিউ ইয়র্কের গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো এ তথ্য জানিয়েছেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, এর মধ্য দিয়ে শিশুদের মধ্যেও করোনাজনিত মৃত্যু ঝুঁকির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

কুমোএতোদিন ধরে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা দাবি করে আসছেন, বয়োজ্যেষ্ঠ এবং নাজুক স্বাস্থ্যের অধিকারীরা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে বেশি মৃত্যুঝুঁকিতে থাকেন। শিশুরা এ ভাইরাসে আক্রান্ত কিংবা অন্যের শরীরে এ ভাইরাস ছড়াতে ভূমিকা রাখলেও তাদের অসুস্থতার মাত্রা খুব বেশি হয় না।  তবে শনিবার নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে নিউ ইয়র্ক গভর্নর জানান, করোনা মহামারির মধ্যে টক্সিক শক ও কাওয়াসাকি রোগের লক্ষণের মতো কিছু উপসর্গ নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন। এ উপসর্গের মধ্যে আছে- রক্তনালীতে প্রদাহ ও হৃদযন্ত্রে মারাত্মক ক্ষতি। তিনি আরও জানান, এ উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া তিন শিশুর করোনা পরীক্ষার ফলও পজিটিভ এসেছে। এর মধ্য দিয়ে ধারণা করা হচ্ছে করোনার সঙ্গে এ উপসর্গের সংযোগ রয়েছে। তবে তা এখন্ও পুরোপুরি নিশ্চিত নয়।

অ্যান্ড্রু কুমো আরও জানান, একইরকমের আরও ৭৩টি ঘটনা নিয়ে পরীক্ষা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘এটা এখনও নিশ্চিত নয়। একেবারে ছোট বাচ্চা, স্কুল শিক্ষার্থীর মধ্যে কাওয়াসাকি রোগ বা টক্সিক শকের মতো উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। হতে পারে কয়েক সপ্তাহ ধরে এমনটা চলছে কিন্তু কোভিড-১৯ এর সঙ্গে সম্পর্কিত নয় ভেবে পরীক্ষা করা হয়নি।’

নিউ ইয়র্ক গভর্নর আরও জানিয়েছেন, এ নিয়ে নিউ ইয়র্ক জিনোম সেন্টার ও রকফেলার বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সমন্বিতভাবে কাজ করছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। এসব উপসর্গের পেছনে জেনেটিক ভিত্তি আছে কিনা তা নিয়ে গবেষণা করবেন তারা। এ ধরনের উপসর্গ দেখা যাওয়া মানুষদের শনাক্ত করে চিকিৎসা দিতে জাতীয় পর্যায়ে একটি নির্দেশনাও তৈরি করছে কেন্দ্রীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কর্তৃপক্ষ।