ভারতে ৭০ হাজার ৮২৭ জনের করোনা শনাক্ত

ভারতে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়া ব্যক্তির সংখ্যা ৭০ হাজার ছাড়িয়েছে। বাংলাদেশ সময় ১২ মে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এ তথ্য জানিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়টির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ভারতে এ পর্যন্ত মোট ৭০ হাজার ৮২৭ জনের শরীরে এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে দুই হাজার ২৯৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।

nonameকর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার এনডিটিভি জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় অন্তত ৮৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে নতুন করে তিন হাজার ৬০৪ জনের শরীরে এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আগামী ১৭ মে-এর পরও ফের লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে সরকারি সূত্রগুলো। তবে মেয়াদ বাড়ানো হলেও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ নয় এমন এলাকাগুলোতে কিছু কিছু বিধিনিষেধ আরও লাঘব করা হতে পারে। সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠকে এ নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়েছে।

ভারতের সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্ত রাজ্য মহারাষ্ট্র। সেখানকার পরিস্থিতির ক্রমেই অবনতি হচ্ছে। রাজ্যটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ২৩ হাজার ৪০১ জনে দাঁড়িয়েছে। শুধু গত ২৪ ঘণ্টায়ই সেখানে নতুন করে আরও এক হাজার ২৩০ জনের শরীরে এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। মহারাষ্ট্রে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৮৬৮ জনের।

মহারাষ্ট্রের পরেই কোভিড- ১৯ সংক্রমণের বিচারে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে গুজরাট। ওই রাজ্যে এখনও পর্যন্ত আট হাজার ৫৪১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৫১৩ জন মারা গেছে।

প্রাণহানির পাশাপাশি আক্রান্তদের অনেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। মঙ্গলবার সকালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সুস্থ হয়ে উঠা ব্যক্তিদের একটি পরিসংখ্যান হাজির করেছে। এতে দেখা যায়, আক্রান্তদের মধ্যে ২২ হাজার ৪৫৫ জন সুস্থ হয়ে উঠেছে। এটি মোট আক্রান্তের ৩১ দশমিক ৭৩ শতাংশ।

এদিকে আজ থেকেই আংশিকভাবে ভারতের যাত্রীবাহী ট্রেন পরিষেবা শুরু হচ্ছে। ইতোমধ্যেই রেলের পক্ষ থেকে স্টেশন এবং সময়ের বিবরণসহ ট্রেনের নতুন সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে। আপাতত ১৫ জোড়া ট্রেন চলবে। অর্থাৎ, আপ-ডাউন মিলিয়ে মোট ৩০টি ট্রেন চলার কথা রয়েছে। ট্রেনগুলো দিল্লি রেল স্টেশন থেকে হাওড়া, মুম্বাই, বেঙ্গালুরু ও চেন্নাইয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোর মধ্যে চলাচল করবে।