বিভিন্নভাবে নিজের প্রকাশ ঘটাচ্ছে কোভিড-১৯

করোনাভাইরাসকে শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণকারী ভাইরাস হিসেবে শনাক্ত করা হলেও, এখন এসে ভাইরাসটি বিভিন্নভাবে এর প্রকাশ ঘটাচ্ছে। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন-এর অনলাইন ভার্সনে প্রকাশিত এক বিশেষ প্রতিবেদন বলছে, চিকিৎসকরা করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের শরীরে এমন কিছু উপসর্গ দেখেছেন যা একই সঙ্গে ভীতিকর ও উদ্ভট। এর মধ্যে রয়েছে, শরীরের যে কোনো জায়গায় যেকোনও আকারে রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়া, কিডনি বিকল হয়ে যাওয়া, হৃদযন্ত্রে প্রদাহ ও রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাজনিত জটিলতা।

noname

ইউনিভার্সিটি অব ফ্লোরিডা কলেজ অব মেডিসিন-এর সার্জারি টিমের সহকারি অধ্যাপক ড. স্কট ব্রাকেনরিজ বলেন, ‘একটি বিষয় একইসঙ্গে কৌতুহলের ও হতাশার। আর তা হলো, এ রোগটি বিভিন্নভাবে নিজের প্রকাশ ঘটাচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘কিছু কিছু ক্ষেত্রে রোগীর শ্বাসগ্রহণ ক্ষমতার ওপর তীব্র প্রভাব পড়ে। আবার কারও কারও ক্ষেত্রে বিভিন্ন অঙ্গের কার্যকারিতা নষ্ট হয় এবং এতে সব অঙ্গ অচল হয়ে পড়ে। আর এখন এটি শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ওপরও প্রভাব ফেলছে।’

করোনা সংক্রমণের সাধারণ কিছু লক্ষণ হলো: জ্বর, নিউমোনিয়া, তীব্র শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা। তবে এই ভাইরাসকে মানুষের কিছু অঙ্গে সরাসরি আক্রমণ করতে দেখা গেছে। সবচেয়ে উদ্বেগজনক হলো, এ ভাইরাস রক্তনালীর আস্তরণের ওপর আঘাত হানে। এর ফলেই শরীরে অস্বাভাবিকরকমে রক্ত জমাট বেঁধে যায়।

চিকিৎসকদের কেউ কেউ জানিয়েছেন, তরুণ রোগীদের স্ট্রোক করতে দেখেছেন তারা, যা অস্বাভাবিক। সেইসঙ্গে ফুসফুসে রক্ত জমাট বাঁধতেও দেখা গেছে।

লস অ্যাঞ্জেলেসের সিডার্স-সিনাই মেডিক্যাল সেন্টারে করোনা রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছেন ডা. ওরেন ফ্রাইডম্যান। সিএনএন-কে তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে সন্দেহ নেই যে ভাইরাসটি রক্ত ঘনীভবন প্রক্রিয়ায় প্রভাব ফেলে এবং সরাসরি মানুষের রক্তনালীকে আক্রান্ত করে।’

‘নিশ্চিতভাবেই মানুষের প্রত্যেকটি অঙ্গ রক্তনালী দ্বারা সচল থাকে। সেকারণে ভাইরাস যখনই মানুষের রক্তনালীকে আক্রান্ত করে তখন অঙ্গকে অকার্যকর করে দিতে পারে।’ যোগ করেন ফ্রাইডম্যান।

স্কট ব্রাকেনরিজ মনে করেন, এ ব্যাপারে বোঝাপড়া অর্জনে আরও সময় লাগবে।