যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় মৃতের সংখ্যা ৮৭ হাজার ছাড়িয়েছে

যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ৮৭ হাজার ছাড়িয়েছে। শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এ তথ্য জানিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়টির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত এ মহামারিতে আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ লাখ ৪৬ হাজার ৮৭৫। এর মধ্যে ৮৭ হাজার ৬৯৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। উৎপত্তিস্থল চীনে ৮৩ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হলেও সেখানে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব কমে গেছে। তবে বিশ্বের অন্যান্য দেশে এই ভাইরাসের প্রকোপ বাড়ছে। চীনের বাইরে করোনাভাইরাসের প্রকোপ ১৩ গুণ বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে গত ১১ মার্চ দুনিয়াজুড়ে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

এদিকে আগামী ১ জুনের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। শুক্রবার টুইটারে দেওয়া এক পোস্টে এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন দেশটির রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের (সিডিসি) পরিচালক রবার্ট রেডফিল্ড।

রবার্ট রেডফিল্ড বলেন, পূর্বাভাস মডেলগুলো বলছে আসন্ন সপ্তাহগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে।

এর আগে গত মাসেই তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে দ্বিতীয় ধাপে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হলে তা প্রথম ধাপের চেয়েও মারাত্মক হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের (সিডিসি) এই পরিচালক বলেন, নতুন করে প্রাদুর্ভাব হলে তার সঙ্গে যুক্ত হবে মৌসুমি ফ্লু। সেক্ষেত্রে এটি যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর অকল্পনীয় চাপ তৈরি করবে।

তিনি বলেন, বর্তমানে আমরা যে পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছি তার চেয়েও আগামী শীতে এই ভাইরাসটির আঘাত বিপজ্জনক হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। একই সময়ে একটি ফ্লু ও একটি করোনাভাইরাসের মহামারির জন্য প্রস্তুত হতে মার্কিন কর্মকর্তাদের আহ্বান জানান তিনি।

এদিকে করোনার টিকা উদ্ভাবন না হলেও মার্কিন অর্থনীতি চালুর ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুক্রবার হোয়াইট হাউসের রোজ গার্ডেনে এক সংবাদ সম্মেলনে নিজের এমন অবস্থানের কথা জানান তিনি।