উহানের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সত্য গোপনের অভিযোগ চীনা কর্মকর্তার

করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চীনের উহান শহরের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সত্য গোপনের অভিযোগ করেছেন দেশটির একজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা। ডা. ঝং নানশান নামের ওই কর্মকর্তা চীন সরকারের স্বাস্থ্য বিষয়ক একজন ঊর্ধ্বতন উপদেষ্টা। রবিবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন।

ডা. ঝং নানশান বলেন, প্রাথমিক অবস্থায় তারা প্রাদুর্ভাবের মাত্রা সংক্রান্ত বিশদ তথ্য গোপন করেছিল।  ওই সময়ে তারা সত্য বলতে চাইতো না।

তিনি বলেন, ‘প্রাদুর্ভাবের গোড়ার দিকে উহানের কর্তৃপক্ষের মুখ বন্ধ ছিল। তখন আমি বলেছিলাম সম্ভবত আমাদের বিপুল সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। ’

ডা. ঝং নানশান বলেন, বিদেশে পর্যন্ত সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া সত্ত্বেও পরও উহানের সরকারি প্রতিবেদনে ১০ দিনেরও বেশি সময় ধরে আক্রান্তের সংখ্যা ৪১ দেখানো হয়েছে।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। উৎপত্তিস্থল চীনে ৮৩ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হলেও সেখানে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব কমে গেছে। তবে বিশ্বের অন্যান্য দেশে এই ভাইরাসের প্রকোপ বাড়ছে। চীনের বাইরে করোনাভাইরাসের প্রকোপ ১৩ গুণ বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে গত ১১ মার্চ দুনিয়াজুড়ে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে, করোনায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ লাখ ৬৭ হাজার ৭৯৬। মৃত্যু হয়েছে ৮৮ হাজার ৭৫৪ জনের। মৃতের হিসাবে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে যুক্তরাজ্য। দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ৫৪৬। তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইতালিতে মৃতের সংখ্যা ৩১ হাজার ৭৬৩। চতুর্থ স্থানে থাকা স্পেনে মৃতের সংখ্যা ২৭ হাজার ৫৬৩। পঞ্চম স্থানে রয়েছে ফ্রান্সে মৃতের সংখ্যা ২৭ হাজার ৫৩২।

উৎপত্তিস্থল চীনে মৃতের সংখ্যা চার হাজার ৬৩৭। যদিও দেশটির বিরুদ্ধে প্রকৃত পরিস্থিতি গোপন করার অভিযোগ রয়েছে। উহানের একজন স্বেচ্ছাসেবী বলেন, ‘বুদ্ধি-বিবেচনাসম্পন্ন যেকোনও মানুষ এই সংখ্যা (সরকারি পরিসংখ্যান) নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করবেন।’ অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারিসে পেইনি বলেছেন, করোনা নিয়ে চীনের স্বচ্ছতার বিষয়টি সর্বোচ্চ উদ্বেগে পরিণত হয়েছে।