যুক্তরাজ্যে গন্ধ ও স্বাদহীনতায় করোনা পরীক্ষার পরামর্শ

করোনাভাইরাসের সংক্রমণজনিত নির্দেশনায় পরিবর্তন এনেছে যুক্তরাজ্য সরকার। করোনা উপসর্গের তালিকায় স্বাদ ও গন্ধ না পাওয়কে যুক্ত করা হয়েছে। যেসব মানুষ স্বাদ ও গন্ধ পাচ্ছেন না, তাদের জ্বর ও কাশি না থাকলেও করোনা পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। উপসর্গ হিসেবে জ্বর ও কাশিকে প্রাধান্য দেওয়ায় হয়তো অনেক করোনা আক্রান্তেরই রোগ শনাক্ত হচ্ছে না বলে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা প্রকাশের পর এ ঘোষণা দেওয়া হয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

প্রতীকী ছবি

এতোদিন পর্যন্ত ইংল্যান্ডের জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ বা এনএইচএস শরীরে উচ্চ তাপমাত্রা এবং ঘন-ঘন কাশিকেই কোভিডের অন্যতম প্রধান দুই উপসর্গ হিসাবে বিবেচনা করে আসছিলো। কিন্তু একের পর এক গবেষণার ফলাফলে দেখা যায়, আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে জ্বর বা কাশি শুরুর আগেই তারা স্বাদ-গন্ধ হারিয়ে ফেলছেন। এমন অবস্থায় কাশি ও শরীরের উচ্চ তাপমাত্রার পাশাপাশি গন্ধ না পাওয়াকে এখন করোনার তৃতীয় উপসর্গ হিসেবে বিবেচনা করছে যুক্তরাজ্য সরকারও।

যুক্তরাজ্যের চার প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা পরামর্শ দিয়েছেন, যেসব মানুষ স্বাদ ও গন্ধ পাবে না তাদেরকে নিজে থেকে আইসোলেশনে থাকতে হবে, নয়তো করোনা পরীক্ষা করাতে হবে। এমনকি অন্য লক্ষণ না থাকলেও এ ব্যবস্থাগুলো নিতে হবে।

লন্ডনের কিংস কলেজ উপসর্গ শনাক্ত করতে একটি অ্যাপ তৈরি করেছে। এ অ্যাপস ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছেন কলেজের অধ্যাপক টিম স্পেকটর। তিনি বলেন, যুক্তরাজ্যে এমন ৫০ হাজার থেকে ৭০ হাজার করোনা আক্রান্ত আছেন যাদেরকে ভুল করে আইসোলেশনে থাকতে বলা হয়নি।

কিংস কলেজ ও ইংল্যান্ডের নটিংহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয় এবং যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ এক গবেষণায় দেখা গেছে, তাদের অ্যাপ ব্যবহারকারীদের মধ্যে যে প্রায় সাত হাজার লোক পরীক্ষায় কোভিড পজিটিভ হয়েছেন, তাদের ৬৫ শতাংশই বলছেন তাদের স্বাদ-গন্ধ নেওয়ার ক্ষমতা চলে গিয়েছিলো।