বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ৫৭ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করেছে পাকিস্তান

করাচির আবাসিক এলাকায় যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৫৭ জনের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেছে পাকিস্তানের প্রাদেশিক কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার জিন্নাহ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পথে পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের (পিআইএ) বিমানটি ৯৯ আরোহী নিয়ে বিধ্বস্ত হয়। হতাহতদের মধ্যে বিমানের আরোহী ছাড়াও আবাসিক এলাকাটির কোনও বাসিন্দা রয়েছেন কিনা তা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত করতে পারেনি সিন্ধু প্রদেশের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। তবে বিমানটির অন্তত দুই আরোহী বেঁচে গেছেন বলে কর্মকর্তাদের বরাতে জানিয়েছে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন।

noname

 

করোনাভাইরাস লকডাউনের পর বাণিজ্যিক ফ্লাইট চালুর অনুমতি দেওয়ার কয়েক দিনের মধ্যে শুক্রবার পাকিস্তানের লাহোর থেকে করাচির উদ্দেশে ছেড়ে যায় এ৩২০ মডেলের বিমানটি। করাচি বিমানবন্দরে নামার কিছুক্ষণ আগে এটি একটি আবাসিক এলাকার ওপর বিধ্বস্ত হয়। এরপরই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় উদ্ধারকারীরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে আবাসিক এলাকার বাড়িঘরও ক্ষতিগ্রস্ত হতে দেখা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার আগে দুই থেকে তিনবার অবতরণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। শাকিল আহমেদ নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, বিমানটি প্রথমে একটি মোবাইল ফোন টাওয়ার ও পরে বাড়িঘরের ওপর বিধ্বস্ত হয়। সিন্ধু প্রদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রীর মিডিয়া সমন্বয়ক মিরান ইউসুফ জানিয়েছেন, বিমানের বেঁচে যাওয়া দুই আরোহীকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এদের একজন ব্যাংক অব পাঞ্জাবের প্রেসিডেন্ট জাফর মাসুদ। অপরজনের নাম জুবায়ের বলে জানান তিনি।