চীনের পার্লামেন্টে বিতর্কিত হংকং নিরাপত্তা বিল অনুমোদন

হংকংয়ের জন্য প্রবর্তিত বিতর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা আইন অনুমোদন করেছে চীনের পার্লামেন্ট। সমালোচকদের আশঙ্কা অনুমোদন পাওয়া আইনটির কারণে অঞ্চলটির স্বায়ত্তশাসন খর্ব হতে পারে। বৃহস্পতিবার চীনের ন্যাশনাল পিউপিল কংগ্রেসে ২৮৭৮-১ ভোটে বিলটি অনুমোদন পেয়েছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে, ভোটাভুটির ফল বড় পর্দায় ভেসে ওঠার পর গ্রেট হল অব দ্য পিউপিলে সমবেত আইনপ্রণেতারা উল্লাসে ফেটে পড়েন।noname

সম্প্রতি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল হংকংয়ে বিতর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা আইন চালুর উদ্যোগ নেয় চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি। এই আইনে দেশদ্রোহিতা, বিচ্ছিন্নতা এবং রাষ্ট্রদ্রোহিতা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এর অধীনে হংকংয়ের আইন প্রণেতাদের বাদ দিয়েই এসব অপরাধে অভিযুক্তদের সাজা দেওয়ার সুযোগ পাবে চীনা কর্তৃপক্ষ। এতে স্বায়ত্তশাসন খর্বের আশঙ্কায় বিক্ষোভ শুরু করেছে হংকংয়ের বাসিন্দারা। গত বছর হংকংয়ে ব্যাপক বিক্ষোভের জেরে ওই আইন প্রণয়ণের উদ্যোগ নেওয়া হলেও এর প্রতিবাদে অঞ্চলটিতে বড় ধরনের বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।

আইনটির বিস্তারিত এখনও জানা যায়নি। তবে চীনা কর্তৃপক্ষ এবং বেইজিং সমর্থক হংকং সরকার ইতোমধ্যে এর পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী ক্যারি লাম বলেছেন, এই আইনের মাধ্যমে অঞ্চলটির স্বায়ত্তশাসন খর্বের আশঙ্কা নেই। এই আইন নিয়ে অন্য কোনও দেশের হস্তক্ষেপের কোনও সুযোগ নেই বলেও দাবি করেছেন তিনি।

তবে বুধবার হংকংকে দেওয়া বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটনের অভিযোগ, অঞ্চলটি আর বেইজিং থেকে স্বায়ত্তশাসিত নয়। মর্যাদা প্রত্যাহার করে নেওয়ায় অঞ্চলটির ওপর ভবিষ্যতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং বাণিজ্য সুবিধা বাতিলের সুযোগ তৈরি হয়েছে।  

এদিকে বিলটির বিরুদ্ধে হংকংয়ে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। বুধবার স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলটির রাস্তায় হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করে। তাদের ওপর রাবার বুলেট ছুড়েছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে তিনশ’রও বেশি মানুষকে। বিক্ষোভের পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার পথেও অনেককেই গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর দেয় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো।