ভারতে ২০০ ট্রেনের চলাচল শুরু, প্রথমদিনেই যাত্রীদের ভিড়

লাগাতার লকডাউন খানিক শিথিল করে সোমবার (১ জুন) থেকে ভারতজুড়ে ২০০টি ট্রেনের পরিষেবা চালু করেছে দেশটির সরকার। আর এই ট্রেনগুলোর চলাচল শুরু হতেই স্টেশনে স্টেশনে ভিড় জমেছে যাত্রীদের। ওই ২০০ টি ট্রেনের সফর শুরুর প্রথম দিনেই যাত্রী সংখ্যা ১ লাখ ৪৫ হাজারেরও বেশি। তবে ট্রেনে চলাচলের ক্ষেত্রে বেশ কিছু বিধি-নিষেধ মেনে চলতে হবে তাদেরকে। ভারতের সর্ববৃহৎ যোগাযোগ পরিষেবার তরফে জানানো হয়েছে, যাত্রীদের ট্রেন ছাড়ার ৯০ মিনিট আগে স্টেশনে পৌঁছাতে হবে এবং স্ক্রিনিং করা বাধ্যতামূলক। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

অন্ধ্র্রদেশের একটি স্টেশনে যাত্রীদের ভিড়করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে গত ২৪ মার্চ ভারতজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করেন সেদেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বন্ধ হয়ে যায় ট্রেন চলাচল। এতে এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে কাজ করতে যাওয়া শ্রমিকরা আটকে পড়েন। অনেকে পায়ে হেঁটে রওনা দেন। এ নিয়ে তুমুল সমালোচনার মুখে ১২ মে থেকে শ্রমিকদের জন্য ৩০টি বিশেষ ট্রেন চালু করা হয়। এবার করোনা ভাইরাসকে  রুখতে লাগাতার লকডাউন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে ধীরে ধীরে অন্য পথে হাঁটছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়। নিষেধাজ্ঞা শিথিল করে সোমবার থেকে চলাচল শুরু করেছে ২০০টি ট্রেন।৩০ জুন পর্যন্ত রেড জোন এলাকায় লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হলেও তারই মধ্যে ধীরে ধীরে শুরু হচ্ছে স্বাভাবিক জনজীবনের পথচলা। 

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের নির্দেশিকা অনুযায়ী, সব যাত্রীদের থার্মাল স্ক্রিনিং করে তবেই ট্রেনে ওঠার অনুমতি দেওয়া হবে। যাদের শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কোনওরকম লক্ষণ নেই একমাত্র তাদেরই ট্রেনে উঠতে দেওয়া হবে বলে কড়া নির্দেশ জারি করেছে সরকার। পাশাপাশি ট্রেনে ওঠা সমস্ত যাত্রীকে অবশ্যই নিজেদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে এবং পুরো ট্রেন সফরেই মাস্ক পরে থাকতে হবে। সমস্ত যাত্রীদের হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।

ট্রেনের ভিতরে কোনও বিছানা, কম্বল বা পর্দা রেলের তরফ থেকে সরবরাহ করা হবে না। যাত্রীদের যদি প্রয়োজন হয় তাহলে তারা নিজেরা সেসব বহন করতে পারেন। সেইসঙ্গে সমস্ত এসি কোচের অভ্যন্তরের তাপমাত্রাও যথাযথভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলে জানা গেছে।