সহিংসতা কমলেও যুক্তরাষ্ট্রে বিক্ষোভ বাড়ছে

পুলিশ হেফাজতে কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিক জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রে টানা অষ্টম রাতের বিক্ষোভে সহিংসতার মাত্রা কমে এসেছে। বিভিন্ন শহরের এসব বিক্ষোভে লাখ লাখ মার্কিন নাগরিক যোগ দিয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ হয়েছে। কারফিউ অমান্য করেও কয়েকটি শহরে বিক্ষোভ হয়েছে। অন্যতম বড় বিক্ষোভ হয়েছে ফ্লয়েডের নিজ শহর টেক্সাসের হাউসটনে। ওই বিক্ষোভে তার স্বজনেরাও যোগ দেয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।noname

পুলিশি হেফাজতে নিরস্ত্র কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষোভে উত্তাল পুরো যুক্তরাষ্ট্র।  টানা আট দিন ধরে শহরে শহরে চলছে বিক্ষোভ। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের পাশাপাশি পুলিশি দমনের বিপরীতে চলছে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও সংঘর্ষ। কারফিউ জারি আর বিশেষ বাহিনী নামিয়েও লোকজনকে রাস্তা থেকে সরানো যাচ্ছে না।

মঙ্গলবার হোয়াইট হাউস অভিমুখে রওনা দেওয়া বিক্ষোভকারীদের ঠেকাতে মার্কিন রাজধানীর রাজপথে সেনাবাহিনীর উপস্থিতি দেখা গেছে। একই সময়ে আকাশে হেলিকপ্টারও উড়তে দেখা যায়। রাতের বেলার কারফিউ অমান্য করে নিই ইয়র্কের ম্যানহাটনে বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় নেমে আসলে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সেখানে কারফিউয়ের মেয়াদ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানো হয়েছে।

এছাড়া বড় ধরনের বিক্ষোভ হয়েছে লস অ্যাঞ্জেলস, ফিলাডেলফিয়া, আটলান্টা ও সিয়াটলে। তবে তুলনামূলকভাবে শান্ত হয়ে এসেছে ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থল মিনিয়াপলিস শহর।