অক্সফোর্ডের সম্ভাব্য ভ্যাকসিনের ২০০ কোটি ডোজ তৈরির ঘোষণা

ব্রিটিশ-সুইডিশ ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাস্ট্রাজেনেকা গত মাসেই ঘোষণা দিয়েছিল অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন পরীক্ষামূলক প্রয়োগে সফলতা পেলে এ বছর ১০০ কোটি ডোজ সরবরাহ করতে সক্ষম হবে তারা। তবে বৃহস্পতিবার (৪ জুন) কোম্পানিটি জানিয়েছে, ২টি নতুন চুক্তি হওয়ার পর তাদের সক্ষমতা দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছে। এখন তারা ২০০ কোটি ডোজ টিকা সরবরাহ করতে পারবে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি’র প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এরমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের জন্য ৪০ কোটি ডোজ এবং নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশের জন্য ১০০ কোটি ডোজ বরাদ্দ করা হয়েছে।
 
 
প্রতীকী ছবি
বিভিন্ন দেশে করোনা প্রতিরোধী টিকা ও ওষুধ আবিষ্কারের প্রচেষ্টা চলছে। বিশেষজ্ঞরা আভাস দিয়েছেন, নিরাপদ ও কার্যকর রোগ প্রতিরোধী টিকা উদ্ভাবনে ১২-১৮ মাস সময় লাগতে পারে। এ পর্যন্ত মাত্র কয়েকটি টিকা পরীক্ষামূলকভাবে মানবদেহে প্রয়োগ করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে এগিয়ে রয়েছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের টিকাটি।
 
যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের সঙ্গে এ ভ্যাকসিন তৈরিতে কাজ করছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা। বৃহস্পতিবার কোম্পানির প্রধান নির্বাহী জানান, সম্প্রতি টিকা উৎপাদন নিয়ে তাদের একটি চুক্তি হয়েছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে, যারা বিশ্বের বৃহত্তম ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী হিসেবে পরিচিত। আরেকটি চুক্তি হয়েছে বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটসের অর্থায়নে পরিচালিত দুটি স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে। ওই দুটি দাতব্য প্রতিষ্ঠান হচ্ছে কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস ইনোভেশনস (সিইপিআই) ও জিএভিআই ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স।
 
এ বছরের সেপ্টেম্বর নাগাদ যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে টিকাটি সরবরাহ শুরু হবে। আর ২০২১ সালের শুরুর দিকে ভারসাম্য বজায় রেখে টিকা সরবরাহ সম্ভব হবে বলে আশা করছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা।
অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রধান নির্বাহী পাস্কাল সরিওট বলেন, তাদের তৈরি 'এজেডডি১২২' নামের টিকাটি কার্যকর কী না, তা আগস্টের মধ্যেই জানা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। অন্যদিকে সিইপিআইয়ের প্রধান নির্বাহী রিচার্ড হ্যাচেট বলেছেন, এখনও টিকাটি কার্যকর না হওয়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।