অস্ট্রেলিয়ায় ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটারস বিক্ষোভে নিষেধাজ্ঞা চায় পুলিশ

পুলিশ হেফাজতে কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিক জর্জ ফ্লয়েড হত্যার প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রে চলমান বিক্ষোভে সংহতি জানিয়ে শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ায় বড় ধরনের বিক্ষোভ আয়োজনের চেষ্টা চলছে। অস্ট্রেলীয় কর্তৃপক্ষের হেফাজতে আদিবাসীদের মৃত্যুতে ক্ষোভ প্রকাশ করতে ওই বিক্ষোভে হাজার হাজার মানুষ যোগ দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে করোনাভাইরাসের কারণে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়তে পারে এমন যুক্তিতে ওই বিক্ষোভের ওপর নিষেধাজ্ঞা চাইছে পুলিশ। এই আবেদন নিয়ে আদালতে গেছে দেশটির নিউ সাউথ ওয়েলস (এনএসডব্লিউ) পুলিশ। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে গত সপ্তাহে বিক্ষোভ হয়েছে

গত ২৫ মে মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের বৃহত্তম শহর মিনিয়াপলিসে পুলিশি হেফাজতে হত্যার শিকার হন জর্জ ফ্লয়েড। একজন প্রত্যক্ষদর্শীর ধারণ করা ১০ মিনিটের ভিডিওতে দেখা গেছে, হাঁটু দিয়ে নিরস্ত্র ফ্লয়েডের গলা চেপে ধরে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ডেরেক চাওভিন নামের এক শ্বেতাঙ্গ পুলিশ সদস্য। এই হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্র। আর ওই বিক্ষোভের প্রতি সংহতি জানিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটারস বিক্ষোভ আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন ইতোমধ্যে ওই বিক্ষোভ আয়োজনের সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘এই আবেগ প্রকাশে নিজের এবং অন্যদের স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ফেলার চেয়ে আরো ভালো উপায় খুঁজতে হবে।’

যুক্তরাষ্ট্রে জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ডের পর নিজ দেশের পুলিশি হেফাজতে কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিক হত্যার প্রতিবাদে অস্ট্রেলিয়ায় বেশ কিছু স্থানে বিক্ষোভ হয়েছে। সিডনি, ব্রিসবেন, পারথ এবং ক্যানবেরাতে বিক্ষোভ শেষে শুক্রবার নিউ সাউথ ওয়েলসে বড় বিক্ষোভ আয়োজনের চেষ্টা চলছে।

ইতোমধ্যে মেলবোর্ন পুলিশ ওই বিক্ষোভে অংশ না নিতে নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। এছাড়া আয়োজকদের ওই বিক্ষোভ বাতিলের আহ্বান জানিয়েছে তাদের জরিমানা করার হুমকি দেওয়া হয়েছে। তবে ব্রিসবেন ও এডিলেডে বিক্ষোভের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।