এর আগে বুধবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিম্ন কক্ষ হাউজ অব কমন্সে এই ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হয়। এসময় এই হামলার বিষয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির নেতা ডেভিড ক্যামেরনের সঙ্গে বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিনের মধ্যে তীব্র বাদানুবাদ হয়। করবিন সিরিয়ায় বিমান হামলার বিষয়টিকে ক্যামেরনের ‘অসুস্থ চিন্তা’ বলে আখ্যায়িত করেন। তারপরও শেষ পর্যন্ত ক্যামেরন সরকার পার্লামেন্টের কাছ থেকে এই হামলার ব্যাপারে সমর্থন আদায় করে ছাড়ে। যা আগে থেকেই নিশ্চিত ছিলো। বাকি ছিলো কেবল আনুষ্ঠানিকতা।
হাউজ অব কমন্সের এই সমর্থন আদায়ের ফলে যে কোনও সময় দেশটি সিরিয়ায় বিমান হামলা শুরু করতে পারে।
এ ব্যাপারে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রী ফিলিপ হাম্মন্ড জানিয়েছেন, আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যেই যে কোনও সময় সিরিয়ায় আইএস বিরোধী বিমান হামলা শুরু হতে পারে।
এই হামলা নিয়ে পার্লামেন্টের সমর্থন লাভে উচ্ছাস প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘এমপিদের আজকের দূরদর্শিতাই প্রমাণ করে যুক্তরাজ্য আগে থেকে নিরাপদ ছিল।’
উল্লেখ্য, গত ১৩ নভেম্বর প্যারিসে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর ফ্রান্স তার মিত্র দেশগুলোকে আইএসের বিরুদ্ধে আরও সামরিক অভিযান বাড়ানোর আহ্বান জানায়। তাদের ডাকে সাড়া দিয়েই যুক্তরাজ্য ও জার্মানি সিরিয়ায় আইএসের ওপর বিমান হামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অবশ্য যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র আগে থেকেই ইরাকে আইএস অবস্থানে বিমান হামলা চালিয়ে আসছে। এখন তারা সিরিয়ায়ও এই হামলা বিস্তৃত করতে চাইছে। যুক্তরাষ্ট্র আগে থেকেই সিরিয়ায় আইএস এর ওপর বিমান হামলা চালিয়ে আসছে। আইএস বিরোধিতার কথা বলে বিমান হামলা চালাচ্ছে রাশিয়াও। সূত্র: বিবিসি, রয়টার্স ও সিএনএন
/এসএম/বিএ/