অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সাথে সাথে তামা থেকে লোহা পর্যন্ত সব পণ্যের ক্ষেত্রে এখন সর্বোচ্চ আমদানিকারক দেশ চীন। তবে, চলতি বছরে বাংলাদেশ রেকর্ড পরিমাণ ৫.৭৫ মিলিয়ন বেল তুলা আমদানি করবে, যা গতবছরের তুলনায় ৬.৫% বেশি। একই সময়ে চীন ৫.৫ মিলিয়ন বেল তুলা আমদানি করবে যা ২০০৩ সালের পর সর্বনিম্ন। প্রসঙ্গত, এক বেল সুতার ওজন ৪৮০ পাউন্ড বা ২১৮ কেজি।
বিশ্বব্যাংক প্রকাশিত একটি রিপোর্টের বরাতে ব্লুমবার্গের খবরে বলা হয়, তৈরি পোশাক খাতে দারুণ সাফল্য অর্জন করায় ১৯৯৫ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে বাংলাদেশে সুতার চাহিদা দ্বিগুণ হয়েছে। বাংলাদেশ বর্তমানে চীনের পরেই দ্বিতীয় বৃহৎ পোশাক রপ্তানিকারক দেশ।
চীনের সুতা আমদানি হ্রাসের পেছনে মজুরি মূল্যস্ফীতি, অধিক সুতা মজুদের মতো গুরুত্বপূর্ণ কিছু কারণের করা উল্লেখ করা হয়। এছাড়া কোটা ও ট্যারিফ বিষয়ক জটিলতার কারণে চীন সুতা আমদানিতে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।
বাংলাদেশের মতো ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়ারও তুলা আমদানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বাংলাদেশে তুলার ব্যবহার ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে মার্কিন কৃষি বিভাগ।
/বিএ/