‘খয়রাতি’ ইস্যু: নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলো আনন্দবাজার পত্রিকা

বাংলাদেশি পণ্যে বেইজিং-এর শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার নিশ্চিতের ঘটনাকে ‘খয়রাতি’ আখ্যা দিয়ে তোপের মুখে পড়েছিল কলকাতাভিত্তিক আনন্দবাজার পত্রিকা। এ ঘটনায় নিজেদের ভুল স্বীকার করে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছে তারা। মঙ্গলবার (২৩ জুন) ওই পত্রিকার প্রিন্ট ভার্সনের চতুর্থ পৃষ্ঠায় ‘ভ্রম সংশোধন’ শিরোনামে এ ক্ষমা প্রার্থনা করা হয়। 

noname

ভারত-চীন চলমান উত্তেজনার মধ্যেই বেইজিং-এর কাছে ৯৭ শতাংশ বা ৮ হাজার ২৫৬টি পণ্য রফতানিতে শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত বাণিজ্য সুবিধা পেয়েছে বাংলাদেশ। সম্প্রতি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ১ জুলাই থেকে এ বাণিজ্য সুবিধা কার্যকর হবে।
গত শনিবার ‘লাদাখের পরে ঢাকাকে পাশে টানছে বেজিং’ শিরোনামে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে ঢাকাকে দেওয়া চীনের বাণিজ্য সুবিধার কথা বলতে গিয়ে ‘খয়রাতি’ শব্দটি ব্যবহার করে আনন্দবাজার পত্রিকা। এতে আহত হয় বাংলাদেশের সচেতন নাগরিক সমাজ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ক্ষোভ আর তীব্র প্রতিবাদ হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকেও কলকাতাভিত্তিক ওই পত্রিকার অবস্থানের সমালোচনা করা হয়।

অবশেষে মঙ্গলবার আনন্দবাজার পত্রিকা ‘ভ্রম সংশোধন’ শিরোনামে বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছে। সেখানে তারা লিখেছে ‘লাদাখের পরে ঢাকাকে পাশে টানছে বেজিং’ শীর্ষক খবরে (২০-৬, পৃ ৮) খয়রাতি শব্দের ব্যবহারে অনেক পাঠক আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন। অনিচ্ছাকৃত এই ভুলের জন্য আমরা দুঃখিত ও নিঃশর্ত ক্ষমাপ্রার্থী।’

চীন-বাংলাদেশ বাণিজ্য প্রসঙ্গে ভারতীয় গণমাধ্যমের বক্তব্যকে অনভিপ্রেত আখ্যা দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। এ ব্যাপারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘এটা নট ওয়েলকাম।’