ভারতের বন্দরগুলোতে শুল্ক বিপত্তির মুখে চীনা পণ্য

সীমান্তে চীনা বাহিনীর হাতে ভারতীয় সেনাদের প্রাণহানির পর থেকে ভারতজুড়ে বাড়ছে চীনবিরোধী উত্তেজনা। চীনের পতাকা ও দেশটির প্রেসিডেন্টের কুশপুতুল পোড়ানোর পাশাপাশি চীনা পণ্য বয়কটের ডাক দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। এর মধ্যেই চীন থেকে ভারতে আমদানিকৃত পণ্যে কাস্টমসের ছাড়পত্র মিলছে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েছেন চেন্নাই ও মুম্বাই বন্দরের আমদানিকারীরা।13

চীন থেকে আমদানিকৃত পণ্যের ছাড়পত্র পেতে যে দেরি হবে তার ইঙ্গিত স্পষ্ট। তবে অফিসিয়ালি এর সুনির্দিষ্ট কোনও কারণ জানানো হয়নি।

আমদানিকৃত পণ্য ক্লিয়ারেন্স পেতে অনেকগুলো স্তর পেরুতে হয়। নজরদারির সময় কোনও অসামঞ্জস্যতা না মিললে তবেই সেই পণ্যের উপর আউট অব চার্জ অর্ডার পাওয়া যায়।

সূত্রের বরাত দিয়ে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, চীনা পণ্যে ছাড়পত্র বা ক্লিয়ারেন্সের বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য না হলে তার ছাড়পত্র মিলছেই না।

সংশ্লিষ্ট এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, কাস্টমসের তরফে চীন থেকে আমদানিকৃত পণ্য অত্যাবশ্যকীয় ও অত্যাবশ্যকীয় নয়- এই দুইটি ভাগে ভাগ করে নেওয়া হয়েছে। অত্যাবশ্যকীয় পণ্য না হলে তা পরে পরীক্ষার জন্য সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

তিনি জানান, কাস্টমসের তরফে মুখে বলা হচ্ছে না যে, তারা ওইসব পণ্য পরীক্ষা করবে না। তবে, অন্যান্য দেশের আমদানিকৃত পণ্যের তুলনায় চীনা পণ্যে তেমন গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না।

চীনা থেকে আমদানিকৃত খেলনা, বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম পেতে তাই অসুবিধা হচ্ছে আমদানিকারকদের। বিষয়টি আশু সমাধানেরও কোনও লক্ষণ নেই বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে।

সূত্র জানিয়েছে, ‘এক্ষেত্রে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ সরাসরি কোনও নির্দেশ দেননি। কিন্তু, পুরো প্রক্রিয়ার অন্তর্নিহিত ইঙ্গিত হচ্ছে, অত্যাবশ্যকীয় নয় এমন চীনা আমদানিকৃত পণ্যের ছাড়পত্র মিলতে দীর্ঘ সময় লাগবে। ফলে বাড়বে ড্যামারেজ চার্জ, লাভ কমবে আমদানিকারকদের।’

চেন্নাই বন্দরে কাস্টমস-এর একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, চীন থেকে আমদানিকৃত বেশকিছু পণ্যকে কেন্দ্র করে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। পুরো বিষয়টি অপ্রত্যক্ষ কর বোর্ড ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে ই-মেইল করে জানতে চাওয়া হয়েছে। কিন্তু, এখনও কোনও জবাব আসেনি।

উল্লেখ্য, ভারতে মোট আমদানিকৃত পণ্যের ১৪ শতাংশ আসে চীন থেকে। সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।