ভারতীয় ইয়োগাগুরু বাবা রামদেবের প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে একটি জমি লেনদেনের ঘটনায় দুর্নীতির অভিযোগে নেপালের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাধব কুমার নেপালের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দেশটির দুর্নীতি দমন সংস্থা। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার কাঠমান্ডুর বিশেষ আদালতে জমা দেওয়া অভিযোগপত্রে জানানো হয়, সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী ১৫ বছর আগে পতঞ্জলি যোগপীঠ নেপাল নামের একটি প্রতিষ্ঠানের জন্য আইনি সীমার চেয়ে বেশি জমি ক্রয়ে অবৈধ সুবিধা দিয়েছেন। প্রতিষ্ঠানটি সেই জমি আয়ুর্বেদিক ভেষজ উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং হাসপাতাল স্থাপনের জন্য কিনেছিল। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
৭২ বছর বয়সী মাধব নেপাল ২০০৯ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। বর্তমানে তিনি পার্লামেন্টে ছোট একটি বিরোধীদল ইউনাইটেড সোশ্যালিস্ট পার্টির নেতৃত্ব দিচ্ছেন। দলটির দাবি, এই মামলা রাজনৈতিক প্রতিশোধমূলক।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে মাধব নেপাল বলেন, পতঞ্জলি জমি লেনদেন নিয়ে আমি কোনও বেআইনি কাজ করিনি বা রাষ্ট্রের ক্ষতি করে দুর্নীতিতে জড়াইনি।
তবে দুর্নীতি দমন কমিশনের অভিযোগ, কাভ্রে জেলায় অবস্থিত কিছু জমি পরবর্তীতে বদল করা হয় বা বেশি দামে বিক্রি করা হয়, যা রাষ্ট্রের ক্ষতি ঘটায়।
কমিশন আদালতে তার বিরুদ্ধে প্রায় ১৮ কোটি ৫৮ লাখ নেপালি রুপি (প্রায় ১.৩৫ মিলিয়ন ডলার) জরিমানা দাবি করেছে। দোষী সাব্যস্ত হলে তাকে সর্বোচ্চ ১৭ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দেওয়া হতে পারে।
পতঞ্জলি পক্ষের ভারতীয় মুখপাত্র এস কে তিজারাওয়ালা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া বার্তায় বলেন, আমরা ব্যক্তিগতভাবে বৈধ প্রক্রিয়ায় জমি কিনেছি। কোনও সরকারি জমি নেওয়া হয়নি। আমাদের নাম রাজনীতিকদের প্রতিহিংসায় জড়িয়ে ফেলা অন্যায়।
দুর্নীতির অভিযোগে একই মামলায় আরও ৯২ জন সাবেক মন্ত্রী ও সরকারি কর্মকর্তার নাম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে কেউ কেউ ইতোমধ্যে মারা গেছেন বলেও জানান আদালতের তথ্য কর্মকর্তা ইয়াগা রাজ রেগমি।
তিনি জানান, আদালত মাধব নেপালকে ১৫ দিনের মধ্যে হাজির হওয়ার নির্দেশনা পাঠাবে এবং এরপরই শুনানি শুরু হবে।