নতুন সংক্রমণের কবলে নিউ জিল্যান্ড

নিউ জিল্যান্ডে ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও দুই কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। সে দেশের স্বাস্থ্য দফতরের মহাপরিচালক অ্যাশলে ব্লুমফিল্ড জানিয়েছেন, আক্রান্ত দুইজনই ভারত থেকে সেখানে গিয়েছেন। নিউ জিল্যান্ড হেরাল্ডের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, দেশকে করোনামুক্ত ঘোষণার পর এ নিয়ে সেখানে ১৬ জন আক্রান্ত শনাক্ত হলো।

অকল্যান্ড সিটি হাসপাতাল

নিউ জিল্যান্ডে প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে গত ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে। প্রথম ধাপে শনাক্ত হয় ১ হাজার ১৫৪ জন করোনা রোগী। মৃত্যু হয় ২২ জনের। ৮ জুন করোনার শেষ রোগীটি সুস্থ হয়ে ওঠার পর দেশকে করোনামুক্ত ঘোষণা করে সীমান্ত কড়াকড়ি ছাড়া সব ধরনের সামাজিক ও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয় প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আর্ডার্নের সরকার। তবে এক সপ্তাহের মাথায় আবারও সেদেশে নতুন আক্রান্ত শনাক্ত হয়। তবে তারা বিদেশফেরত।

শনিবার দেশটির স্বাস্থ্য দফতরের মহাপরিচালক অ্যাশলে ব্লুমফিল্ড জানান ২৪ ঘণ্টায় আরও দুইজনের দেহে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। তাদের দুইজনেরই বয়স ২০ এর কোটায়। নিউ জিল্যান্ডে প্রবেশের পর সেখানকার আইসোলেশন কেন্দ্রে ছিলেন ওই দুইজন। এদের মধ্যে এক তরুণী ১৮ জুন ভারত থেকে নিউ জিল্যান্ডে পৌঁছান। তিনি গ্র্যান্ড মিলেনিয়াম আইসোলেশন কেন্দ্রে ছিলেন। ২৩ জুন প্রথম করোনা পরীক্ষায় তার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছিল। ২৬ জুন অন্য শারীরিক অসুস্থতার জন্য তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে অকল্যান্ড সিটি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কিছুক্ষণ থেকে আবারও তিনি আইসোলেশন কেন্দ্রে ফিরে যান। অকল্যান্ড হাসপাতালেও তার করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। শনিবার (২৭ জুন) পাওয়া রিপোর্টে তার করোনা পজিটিভ এসেছে।

নিউ জিল্যান্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আক্রান্ত ওই তরুণীর ক্ষেত্রে অকল্যান্ড হাসপাতালে যথাযথ প্রটোকল অনুসরণ করা হয়েছিল। হাসপাতালের কর্মীরা পিপিই পরে তাকে সেবা দিয়েছেন এবং খুব কাছে কেউ যাননি। তাছাড়া ওই রোগী হাসপাতালের জরুরি বিভাগ ছাড়া অন্য কোথাও যাননি। সুতরাং অকল্যান্ড হাসপাতালে যেতে রোগীদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলে আশ্বস্ত করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

আক্রান্ত হওয়া অপর তরুণ গত ২২ জুন ভারত থেকে নিউ জিল্যান্ডে আসেন। তিনিও গ্র্যান্ড মিলেনিয়ামে আইসোলেশনে ছিলেন। তৃতীয় দিনের রুটিন পরীক্ষায় তার করোনা পজিটিভ আসে।

নিউ জিল্যান্ড হেরাল্ডের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, নতুন করে আক্রান্ত ১৬ জনের সবাই স্বাস্থ্যবিধি মোতাবেক পরিচালিত আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টিন কেন্দ্রে আছে। তবে নতুন পর্যায়ে কোনও কমিউনিটি সংক্রমণ হয়নি।