করোনার বিরুদ্ধে লড়াই, কী বলছেন চিকিৎসকরা

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরুর ছয় মাসেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেছে। এ সময়ের মধ্যে এ ভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসা সম্পর্কে নতুন অনেক তথ্য জানতে পেরেছেন চিকিৎসকরা। হাসপাতালগুলোরও নতুন অভিজ্ঞতা হয়েছে। চিকিৎসক ও হাসপাতালগুলোর এমন কিছু অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।

* রোগীদের রক্ত জমাট বাঁধার ঝুঁকি থাকে। ব্লাড থিনিং এজেন্টগুলোকে এক্ষেত্রে সহায়তা করতে পারে।

* শ্বাসযন্ত্রের সিস্টেম এবং ফুসফুস ছাড়াও করোনভাইরাস হৃৎপিণ্ড, লিভার, কিডনি ও মস্তিষ্কসহ আরও অনেক অঙ্গে আক্রমণ চালাতে পারে।

* অ্যান্টি-ভাইরাল রেমডেসিভির-ই এখন পর্যন্ত করোনার সবচেয়ে প্রতিশ্রুতিশীল চিকিৎসা বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। এছাড়া ডেক্সামেথাসোন এবং অ্যান্টিবডি রয়েছে এমন রোগীদের দান করা প্লাজমা আক্রান্তদের চিকিৎসায় কার্যকর।

* বিশদ পরীক্ষা এবং দ্রুত ফল প্রাপ্তি হাসপাতালের ওপর চাপ কমাতে সহায়তা করে।

* বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য পেশাদারদের মধ্যে তথ্য ভাগ করে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

* চিকিৎসার চেয়ে প্রতিরোধের ওপর জোর দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। ভালোভাবে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ, মাস্ক পরা এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার বিষয়টি মানুষের ওপর নির্ভর করছে।

এখনও যা জানা যায়নি:

* আক্রান্ত কোন রোগীর জন্য ঠিক কোন চিকিৎসা কাজ করবে সেটি এখনও পর্যন্ত যথাযথভাবে জানা যায়নি।

* একজন রোগীর সুস্থ হতে কত সময় লাগবে সেটি এখনও অজ্ঞাত।

* সংক্রমণের দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব কী হবে সেটিও এখনও জানা যায়নি।